নড়াইলে কামার শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে!


নড়াইলের কামার শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। হাতুড়ি পেটানো টুংটাং শব্দে তেমন মুখর নেই নড়াইলে
কামাড়পাড়ায়। লোহা পুড়িয়ে লাল করে পিটিয়ে দিনরাত ধারালো দা, বটি, ছুরি, চাপাতি তৈরিতে কোন ব্যস্ততা নেই কারিগরদের।
এদিকে, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে তেমন বেচাকেনা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যসায়ীরা। হারিয়ে যাচ্ছে কামার শিল্প। প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব আর আধুনিক সব জিনিসপত্র পাওয়া আশায় জেলাতে কামার শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। ফলে জেলার একমাত্র কামার শিল্পক্ষ্যাত অনেক কামাররা বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। পূর্বপুরুষদের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে তারা। তবে কিছু লোকজন এখনও ওই কামার শিল্পের জড়িত রয়েছে।
এখানকার কামাররা সাধারনত মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দা-বটি, কাস্তে, লাঙ্গলের ফলা, কোদাল, তারকাঁটা সহ বিভিন্ন প্রকার লোহার উপকরন তৈরী করে হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকে। তবে বর্তমান আধুনিক যুগের অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে হাতের তৈরী লোহার জিনিস পত্র মানুষ এখন আর বেশি ব্যবহার করছেনা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ধাতব দ্রব্যের তৈরী আধুনিক উপকরণ পাওয়ার কারনেই লোহার উপকরণের প্রতি মানুষের তেমন আগ্রহ নেই।
স্থানীয় কামার রতন কর্মকার ও রুপ কুমার কর্মকার জানান, তাদের তৈরী লোহার জিনিসপত্রের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে। ফলে কামার শিল্পের সাথে জড়িতদের সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা ধরেছেন। আবার অনেকে তার বাপ দাদার পেশা ছাড়তে পারছেন না। একরকম কোন উপায় না পেয়েই তারা তাদের পৈত্রিক এ পেশাকে ধরে রাখার চেষ্ঠা করছেন।
তবে তারা জানান, সরকার এ শিল্পে কিছুটা সহায়তা করলে অনেকেই পেশাটি ধরে রাখবেন আর পূনরায় অন্যান্যের এ পেশায় ফিরে আসা সম্ভব হবে বলে তারা মনে করছেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
