পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় লোডশেডিংয়ে দুর্বিসহ জনজীবন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ এর লাগামহীন লোডশেডিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা। একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল মেনে নিতে পারছে না অনেকেই। তবে এ জন্য কর্মকর্তাদের অবহেলা ও অব্যবস্হাপনাকেই দায়ী করেন ভুক্তভোগীরা।
অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে রয়েছে মোবাইল টাওয়ারগুলো। জেনারেটর চালু করে নেটওয়ার্ক সরবরাহ করতে হয় মোবাইল কোম্পানিগুলোকে।
বর্তমানে সরকারীভাবে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় গরীবের বিকল্প আলোর ব্যবস্হা কেরোসিন ল্যাম্প। কেরোসিন কিনলেও মাস শেষে সময় মত তাদের ঘরে পৌছে যায় বিদ্যুৎ বিলের বোঝা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন বর্ষার সময় তীব্র লোডশেডিংয়ে শ্রেনীকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হয়। আলো না থাকায় ব্লাকবোর্ড ব্যবহার করতে পারেন না শিক্ষকরা।
শুক্রবার অফিস আদালত বন্ধ থাকলেও এ দিন মঠবাড়িয়ায় থাকে ব্যাপক লোডশেডিং।জুমআর নামাজেও বিদ্যুৎ সুবিধা ব্যবহার করতে পারে না মুসুল্লিরা।
মঠবাড়িয়া উপজেলার অধিকাংশ ফার্মেসীর ফ্রীজে থাকা জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মান ঠিক নেই। এর একমাত্র কারন লাগামহীন লোডশেডিং।
তথ্য প্রযুক্তির যুগে অধিকাংশ মানুষই এখন বিদ্যুৎ নির্ভর। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি মোবাইল যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়।
গভীর রাতে নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় মঠবাড়িয়ায় চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের ঘের ও মুরগির খামারেও চুরির খবর পাওয়া গেছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্রাহক বৃদ্ধি পেলেও জনবল বৃদ্ধি করেনি বিদ্যুৎ অফিস। জনবলের অভাবে মিটার না দেখেই আন্দাজ অনুমানের ভিত্তিতে বিল তৈরে করে। অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায় না গ্রাহকরা।
গাছের ডাল সঠিকভাবে না কেটে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করে পল্লী বিদ্যুৎ। এজন্য আকাশে মেঘ করলে কিংবা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেই কিংবা কোন রকম বিজলি চমকালে অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু জোরে বাতাস বইলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মানুষ এগুলো নিয়ে কথা বলতে বলতে এখন অনেকটা অতিষ্ঠ।
তবে লোডশেডিং মানতে নারাজ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তাদের দাবি বৈদ্যুতিক লাইনে ত্রুটির কারনে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে।যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মঠবাড়িয়ার মানুষ প্রায়ই বিদ্যুৎ নিয়ে লেখালেখি করে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম খায়রুল ইসলাম জানান, মঠবাড়িয়ায় বিদ্যুৎ থাকে না এটা মিথ্যা কথা। বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষ প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)