বেনাপোলে উন্নত জাতের শসা চাষে লাভবান হচ্ছে মনজুরুল আহসান
পড়াশোনার পাশাপাশি উন্নত পদ্ধতিতে (মালচিং পদ্ধতি) এগ্রো-১ এর সাবিরা জাতের শসা চাষ করে লাভবান হয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মনজুরুল আহসান। তিনি নিজের প্রচেষ্টায় এই শসা চাষে সফল হয়েছেন। তথ্য চিত্রে রিপোর্ট করেছেন আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ ওসমান গনি।
প্যাকেজ: শসা একটি লাভজনক ও অর্থকরী সবজি। বর্তমানে আমাদের দেশে হাইব্রিড জাতের অনেক শসা চাষ হয়ে থাকে। এ জাতের শসার ফলন অনেক বেশি। এটি স্বল্প সময়ের সবজি। জাতভেদে বীজ রপণের ৩৫-৪০ দিন পর থেকেই ফল তোলা যায়। ধান চাষের তুলনায় শসা চাষে ২/৩ গুণ লাভ হয়। অল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় শসা চাষ এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
মনজুরুল আহসান বাড়ির পাশে ১বিঘা জমিতে উন্নত পদ্ধতিতে এগ্রো-১ এর সাবিরা জাতের শসা চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি তার শসা ক্ষেতে ৮/১০জন নারী শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। ইন্টারনেটে দেখে বগুড়া থেকে বীচ সংগ্রহ করে এ চাষ শুরু করেন তিনি।
৭০হাজার টাকা খরচ করে চার বার শসা বিক্রি করেছে ৬০হাজার টাকা। এখনও ৭০/৮০ হাজার টাকার শসা বিক্রির আসা করছেন তিনি। তার এ মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই আগামীতে শসা চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল, জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ১৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে। এবং ৫০ হেক্টর জমিতে শসা উৎপাদন হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজি চাষে সহযোগিতা এবং উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। চলতি রমজানকে সামনে রেখে শসা এবং বেগুন চাষের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)