মহানবী (স.) কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, যবিপ্রবি শিক্ষার্থী মিঠুনকে সাময়িক বহিষ্কার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কটূক্তি, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিঠুন মন্ডল ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ছাত্রত্ব কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে যবিপ্রবির উপাচার্যের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি, শিক্ষক সমিতি ও কর্মকর্তা সমিতির জরুরি সভায় তার ছাত্রত্ব বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
সভায় মিঠুন মন্ডলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের এবং এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো. মেহেদী হাসান। কমিটির সদস্যরা হলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ড.ইঞ্জি এবং সদস্য সচিব কর্মকর্তা সমিতির সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম। কমিটিকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিন ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, ড. নাসিম রেজা, ড. মো. মেহেদী হাসান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ড.ইঞ্জি, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, মিঠুন মণ্ডল সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার সখিপুর ইউনিয়নের নারিকেলী গ্রামের বাসিন্দা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা মিঠুন মণ্ডলের কর্মকাণ্ডকে ধিক্কার জানিয়ে তার সর্বোচ্চ শাস্তির কঠোর দাবি জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)