মেজর সিনহা হত্যা: প্রদীপ, লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের কক্সবাজার আদালতে বুধবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত ৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ ঘটনায় নয় পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনকে প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সিনহা নিহত হওয়ার সময় ওই আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি আমলে নিয়ে সেটি টেকনাফ থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তিনি হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজারের র্যাব-১৫-কে দায়িত্ব দিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
মামলার এজাহারে সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস অভিযোগ করেন, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেন।
বাদী উল্লেখ করেন যে ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওসি প্রদীপ কুমার দাস ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসেই তখনও জীবিত থাকা সিনহাকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং তার শরীরে লাথি মারেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে একটি গাড়িতে তুলে সিনহাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)