প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা
শেখ হাসিনা মাফিয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করে হাবিবকে ৭০ বছরের সাজা দিয়েছিল- রিজভী
সেলিম হায়দার : শেখ হাসিনা বাইরে থেকে উস্কানি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে শেরেবাংলা নগরস্থ জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এর আগে বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৪৬ জন সদ্য কারামুক্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই কারণেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বাইরে যে গণতন্ত্রের জন্য কথা বলেছে, তাকে খুন-গুম-হত্যা করতে, তাদেরকে আয়নাঘরে আটকে রাখতে আপনার মনে এতটুকু বিবেকবোধ কাজ করেনি। এখন আপনি উস্কানি দিচ্ছেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দিয়েছেন। একই কায়দা উস্কানি দিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে একটা রক্তাক্ত বাংলাদেশের আবহ তৈরি করে আপনি মনে করেছেন যে, সেই সুযোগে বাংলোদেশে প্রবেশ করবেন। তা এই দেশের মানুষ হতে দেবে না।
তিনি বলেন, শুক্রবার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে গোপালগঞ্জের একজন ছাত্রলীগ নেতার। ছাত্রলীগ নেতা বলছেন, আপা পুলিশ হানা দেয় প্রতিদিন পাঁচ-ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। অথচ আপনি (শেখ হাসিনা) তো ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যিনি সত্যিকার প্রধানমন্ত্রী থাকে সেখানে আইনের শাসন থাকে। যিনি অপরাধ করে অপরাধীদের সাজা হয়, সে যে দলেরই হোক। আপনি কী জানতেন না। আপনি পালিয়ে যাওয়ার পর মাত্র এক মাসও হয়নি। এরমধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের দিদারকে গোপালগঞ্জে প্রকাশ্যে দিবালোকে ছাত্রলীগ যুবলীগ কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরপরও পুলিশ তাদেরকে পূজা করবে? তাদেরকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে!
রিজভী বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) শুক্রবার ছাত্রলীগের এই ছেলের সঙ্গে কথোপকথোন করে আপনি যে বর্বর ও নিষ্ঠুর রক্ত পান করা ছাড়া অন্য কোনো বিবেক আপনার নেই, মানবতা নেই- সেটা আবার প্রমাণ করলেন। অথচ আপনি বলতে পারতেন, ওইখানে হত্যাকাণ্ড হলো কেন? ওইখানে অন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতা মারা গেল কেন, বলেননি! কারণ আপনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জননী, গডফাদারদের জননী, টাকা পাচারকারীদের জননী।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন মিথ্যা মামলায় বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, গ্রেপ্তার করে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে ৭০ বছর। একটা অনাচারমূলক রাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত, শেখ হাসিনা যে মাফিয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন-সেখানে হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে ৭০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল। অভিযোগ হাবিবুল ইসলাম হাবিব নাকি শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা করেছিলেন। আমরা সেদিনের ঘটনা জানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। আমাদের একটি প্রোগ্রাম ছিল ঢাকায়, অথচ তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে পরিকল্পিত মামলা সাজিয়ে এই মামলাটি দেয়া হয়।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ শহিদুল আলম, জেলা বিএনপি নেতা শেখ তারিকুল হাসান, যুবদল নেতা আয়নুল ইসলাম নান্টা, জেলা ছাত্রদল নেতা শরিফুজ্জামান সজিব, মমতাজুল ইসলাম চন্দন, তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, অধ্যাপক মোশারাফ হোসেন, আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চু, আব্দুল রকিব মোল্লাসহ প্রায় ৬ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)