সাংবাদিকের বাড়িঘর ভাংচুর-লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ!
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের সাংবাদিক সেলিম হোসেনের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করেছেন দৃবৃত্তরা। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করার পর পূর্ব শত্রুতার বিরোধে চলমান রাজনৈতিক অস্বস্তিতার সুযোগ নিয়ে একই তারিখে অনুমান রাত ৮ টার দিকে দৃবৃত্তরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আইনী সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার সাতক্ষীরার সাংবাদিক সেলিম হোসেনের বাড়িতে ঢুকে সাংবাদিক সেলিম হোসেনের ও তার ছোট ভাই ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি সোহেল রানার বাড়ি ঘর, ফ্রিজসহ আসবাবপত্র ভাংচুর, লুটতরাজ ও বস্ত্র কাপড়, আসবাবপত্র, হাফিজিয়া মাদ্রাসার বইখাতাসহ প্রয়োজনী কাগজপত্র অগ্নিসংযোগ করে এবং সাংবাদিক সেলিম হোসেনকে যেখানে সেখানে দেখতে পেলে তাকে মেরে ফেলবে হুমকি দিয়ে চলে যায় বলে সাংবাদিক সেলিম হোসেনের পরিবার জানান। সাংবাদিক সেলিম হোসেনের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনার পরদিন দৃবৃত্তরা ৫৬ হাজার টাকা ও স্বর্ণ গহনা লুটতরাজসহ অন্যান্য আসবাবপত্র মালামাল ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করছেন বলে সাংবাদিক সেলিম হোসেনের পরিবার জানান।
সাংবাদিক সেলিম হোসেন বলেন, আমি একজন নিরিহ দিনমজুর পরিবারের সন্তান। আমি সাংবাদিক পেশায় কাজ করি। আমার পিতা একজন প্রতিবন্ধী। আমার পিতা কোনো কাজ করতে পারে না। আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। কৃষি জমি চাষ করে আমাদের কোনো রকম সংসার চলে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না এবং নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সাংবাদিক পেশাগত ভাবে আমি কোনো দলীয় ও সাধারন মানুষের কোনো সময়ের জন্য ক্ষতিসাধন এবং বিরোধী করিনি । আমি ন্যায় সংঘটিত ভাবে সাংবাদিক পেশাগত থেকে অসহায় সাধারণ মানুষের ও সর্ব দলীয় সংগঠনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি এবং আমি অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে সহযোগিতা করেছি। আমি বাড়ির বাহিরে আমার সাংবাদিকতা পেশাগত কাজে থাকা অবস্থাকালীন গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করার পর আমার পরিবারের কাছ থেকে আমি জানতে পারি একই তারিখে অনুমান রাত ৮ টার দিকে দৃবৃত্তরা লোহার রড, রামদা, লাটিশোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করিয়া আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং বস্ত্র কাপড়, হাফিজিয়া মাদ্রাসার পড়ুয়া ছাত্র আমার ছেলের আরবী বইখাতাসহ আসবাবপত্র ও আমার অফিসের প্রয়োজনী কাগজপত্র অগ্নিসংযোগ করে। এসময় দূবৃত্তদের প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে আমার পরিবার তাদের সামনে আসতে এবং বাঁধা দিতে কেউ সাহস পায়নি। ঘটনার সময় কেউ যদি বাঁধা দিতে আসে তাহলে আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দৃবৃত্তরা। আমাকে যেখানে সেখানে দেখতে পেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় দৃবৃত্তরা। তিনি আরো বলেন, দৃবৃত্তদের আগুনে রক্ষা পায়নি হাফিজিয়া মাদ্রাসার পড়ুয়া আমার ছেলের আরবী বইখাতা, পাঞ্জাবি টুপি। আমার বাড়ি ভাংচুরের খবর শুনে দৃবৃত্তদের ভয়ে আমি বাড়িতে আসতে পারিনি। ঘটনারদিন আমি সাতক্ষীরার বাহিরে ছিলাম। এছাড়াও আমার বাড়ি ভাংচুরের তিনদিন পর আমি জানতে পারি আমার বাড়ি ভাংচুরের ঘটনার পরেদিন রাতে আমার বাব চাচাদের জমিতে আমার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠিত বাইপাস সড়কে বায়তুন নুর জামে মসজিদের গেট ও তালা ভাংচুর করিয়া মসজিদে প্রবেশ করে আলমারীর তালা ভেঙ্গে বই খাতা ছড়িয়ে ফেলে দেয় দৃবৃত্তরা। তবে এটি পূর্ব শত্রুতার বিরোধে প্রতি হিংসার আক্রশে চলমান রাজনৈতিক অস্বস্তিতার সুযোগ নিয়ে দৃবৃত্তরা আমার বাড়িতে সংহিতা ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আমি মনে করি। আমি ও আমার পরিবার আতঙ্ক ও জানমালের নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাংবাদিক সেলিম হোসেনের পরিবার।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)