৭ম বারের ন্যায় নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ের পথে
এস আর সাঈদ, কেশবপুর,যশোর: কেশবপুরে উন্নয়নের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ৭ম বারের ন্যায় নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ের পথে রয়েছে।
জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলা ছিল আওয়ামী লীগ বিরোধী এলাকা। ১৯৯৬ সালে ১২ জুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীক নিয়ে উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের কৃতি সন্তান এএসএইচকে সাদেক যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন। এএসএইচকে সাদেক শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অবহেলিত কেশবপুর উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। উপজেলার সকল গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাঁকাকরণ, অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তি, বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার উন্নয়ন, মসজিদ-মন্দিরে উন্নয়ন, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমাধান-সহ অসংখ্য উন্নয়ন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীক নিয়ে এএসএইচকে সাদেক যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে ২য় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রকৃতপক্ষে এএসএইচকে সাদেক কেশবপুর সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর মৃত্যুর পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি হুইপের দায়িত্ব পেয়ে কেশবপুরে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখেন। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীক নিয়ে এএসএইচকে সাদেক-এর সহধর্মিনী ইসমাত আরা সাদেক যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন প্রতীমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীী ইসমাত আরা সাদেক তাঁর প্রয়াত স্বামী সাবেক সফল শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করার জন্য কাজ শুরু করেন। তিনি একে একে কেশবপুরের অসংখ্য রাস্তা পাঁকাকরণ করেন। অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন করেন। শতভাগ বিদ্যুৎ প্রদান করেন। গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করেন। ভিক্ষুকদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেন। খাল খনন করেন। সড়ক ও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোলার বাতির ব্যবস্থা করেন। কপোতাক্ষ খনন করে ঐ এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ করেন। বিভিন্ন গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করেন। ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও শেখ রাসেল মিনি স্টিডিয়াম নির্মাণ করেন। ত্রিমোহিনীতে কৃষি সেন্টার নির্মাণ করেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতীবন্ধী ভাতা, দলিত ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা-সহ বিভিন্ন প্রকার ভাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজ অর্থায়নে টিফিন বক্স বিতরণ করেন। এছাড়াও তাঁর প্রচেষ্টায় ফায়ারসার্ভিস স্টেশন নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, ২টি বিদ্যুৎ সাব স্টেশন নির্মাণ-সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপির মৃত্যু হলে উপ-নির্বাচনে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
শাহীন চাকলাদার এমপি নির্বাচিত হয়ে গত ৩ বছরে সাগরদাঁড়ী সড়ক সহ উপজেলায় ৭৮ টি কার্পেটিং রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, শহীদ মিনার নির্মাণ, বিজয় স্তম্ভ নির্মাণ-সহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এমপি শাহীন চাকলাদার নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে কেশবপুরে হাতড়ী বাহিনী ও গামছা বাহিনীর অত্যাচার ও চাঁদাবাজীর কারণে উপজেলা বাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল। উপ-নির্বাচনে শাহীন চাকলাদার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর হাতুড়ী বাহিনী ও গামছা বাহিনী রাতের আধারে কেশবপুর ত্যাগ করে। প্রতিষ্ঠিত হয় স্তস্তি আর শান্তির কেশবপুর। কেশবপুর উপজেলা বাসি শান্তিতে বসবাস করা এবং উপজেলা ব্যাপী ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি শাহীন চাকলাদার। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে এমপি শাহীন চাকলাদার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনকে সাথে নিয়ে উপজেলা ব্যাপী গণসংযোগ করেন। ইউনিয়নে ইউনিয়নে পথ সভা করেন। পথসভাগুলি জনসভায় পরিণত হয়। তাছাড়া যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি শাহীন চাকলাদারের বিজয় নিশ্চিত করেতে উপজেলা যুবলীগ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা যুব মহিলালীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ পৌর শহরে নৌকা প্রতীকের পৃথক পৃথক প্রচার মিছিল বের করে। ঐ সকল মিছিলে জনতার ঢল নামে। নৌকার শ্লোগানে পৌর শহর প্রকম্পিত হয়।
সর্বশেষ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বৃহস্পতিবারে কেশবপুর পাবলিক ময়দানে ৫০ হাজার ভোটারদের উপস্থিতে নৌকা প্রতীকের এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পৃথক পৃথক ভাবে মিছিল সহকারে পাবলিক ময়দানে হাজির হয়। ঐতিহাসিক বিশাল ঐ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি শাহীন চাকলাদার। কেশবপুরের ইতিহাসে এত মানুষের উপস্থিতে কোন জনসভা ইতিপূর্বে হয়নি।
অপরদিকে কেশবপুর উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এমপি শাহীন চাকলাদের গ্রহণ যোগ্যাতা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া উপজেলা বাসির সুখে দুখে পাশে থাকায় এমপি শাহীন চাকলাদারের জনপ্রিয়তা ব্যাবকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কাল ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারা উদগ্রিব হয়ে আছে। যার ফলে ব্যাপক ভোটে নৌকা বিজয়ের পথে রয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ৮১টি কেন্দ্রে ৫০৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধে পুরুষ কক্ষ ২৪৩টি এবং মহিলা কক্ষ ২৬৫টি। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৯১৩ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ১০জন ও হিজড়া ভোটার ১ জন। ৭ জানুয়ারী সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি শাহীন চাকলাদার নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টি মনোনীত জি এম হাসান লাঙ্গল প্রতীকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এইচ এম আমির হোসেন কাউচি প্রতীকে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহŸায়ক আজিজুল ইসলাম ঈগল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করছেন।
কেশবপুরে উন্নয়নের পক্ষে এমপি শাহীন চাকলাদারের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ৭ম বারের ন্যায় নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ের পথে রয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)