আশাশুনিতে শিশু ধর্ষন মামলার আসামির স্বজনদের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


অসহায় পরিবারের শিশু কন্যা ধর্ষন মামলার আসামীর স্বজন কর্তৃক মামলা তুলে নিতে বাদীকে খুন জখমের হুমকি-ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার মিত্রতেতুলিয়া গ্রামের হরমুজ গাজীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমরা অত্যান্ত অসহায় নিরিহ ও গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি এলাকার মৃত. শাহ গোলাম ইদ্রিসের পুত্র ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ২টি ধর্ষনসহ একাধিক মামলার আসামী মিজানুর রহমান মন্টু আমার শিশু কন্যা (১০) কে গত ১২/০৯/২০২০ তারিখে কৌশলে ডেকে নিয়ে মৃত. ইয়াকুব আলীর স্ত্রী আমিরন ওরফে আম্বিয়া খাতুনের ছাগল ঘরের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। আমার ভাগ্নি নাবালিকা কন্যাকে না পেয়ে খোজাখুজি করতে থাকে। একপর্যায়ে উক্ত স্থানে গিয়ে আমার কন্যাকে ধর্ষন করা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে মন্টু বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য আমার কন্যা এবং ভাগ্নিকে হুমকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে কন্যার যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব হলে আমার জা নাজমা খাতুন কে বিষয়টি বলে। এঘটনা অবগত হওয়ার পর আমি বাদী হয়ে মন্টুর বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করি যার নং- ১১, তাং- ১৪/০৯/২০২০। উক্ত মামলায় থানা পুলিশ প্রায় ১ মাস ২০ দিন পর মন্টুকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। ধর্ষক বর্তমানে কারাগারে থাকলেও তার স্বজনরা উক্ত মামলা তুলে নিতে আমাকে, আমার পরিবারের সদস্যদের এবং মামলার স্বাক্ষীদের খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
একদিকে আমার শিশু কন্যার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। অন্যদিকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি ধামকি। মন্টু ইতোপূর্বে একই এলাকার এক গৃহবধূকে ধর্ষন করায় প্রায় ৯মাস জেল হাজত খেটে জামিনে মুক্তি পায়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গরু চুরি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, মারপিট, অস্ত্র ও অপহরণ মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে আমরা জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তনি একজন অসহায় মাতা হিসেবে শিশুকন্যাকে ধর্ষন মামলার আসামীর দৃষ্টান্ত শাস্তি এবং তার স্বজন কর্তৃৃক হুমকি ধামকির প্রতিকারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
