ঈদকে সামনে রেখে ফেসবুকে সক্রিয় অনলাইন মোবাইল বিক্রেতা প্রতারক চক্র


হেলাল উদ্দিন : ঈদকে সামনে রেখে অনলাইনে মোবাইলের ধামাকা অফার ঘোষনা করে প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ খুলে ভিভো ফোন বিক্রির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা মানুষের সঙ্গে মহাপ্রতারণা করছে।
গত ২/৩ দিন ধরে ফেসবুকে চলছে প্রতারক চক্রের বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপন দেখে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলের প্রায় ১০জন যুবকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এই প্রতারক চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী যুবকেরা।
যারা প্রতারনার শিকার হয়েছেন, তারা হলেন- হানুয়ার গ্রামের হেলাল, খালিয়া গ্রামের আশরাফ, মোকলেসুর, সজন, মশ্বিমনগর গ্রামের আরাফাত, সজল, মুসফিক, কাঠালতলা গ্রামের মাজাহারুল ও মোবারকপুর গ্রামের সুজন। এরা সবাই ওই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রত্যেকে ৩০০০ হাজার টাকা দিয়েছে। বিনিময়ে তাদের ভিভো মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু টাকা নিয়ে প্রতারক চক্র তাদের ফোন বন্ধ রেছে দেয়। ফলে পরে আর তাদের সাথে কোনো ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি। Bd Mobil Shop 77 ফেসবুক পেজ থেকে আঃ রাজ্জাক ও ওমর নামের দুইজন ব্যক্তি গ্রাহকদের সাথে কথা বলে, গ্রাহকদের বিভিন্ন লোভনীয় অফার করে আকৃষ্ট করে। এরপর বিভিন্ন পন্থায় ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রথমে অগ্রিম বাবদ ৪০০ টাকা, পরের দিন আপনার পার্সেল এসে গেছে OTP নিতে হবে বলে ২৬০০ টাকা ০১৮৩৭-৮০৩৭৮৮ এই নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে নিয়ে ফোনটি বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। যা নিতান্তই মহাপ্রতারণা।
এরপর তাদের নাম্বারে শত শত বার ফোন দিয়েও ফোন খোলা পাওয়া যায়নি। আঃ রাজ্জাক ০১৭৪৫-৩৩৬৪৩২ নাম্বার মোবাইল থেকে আর ওমর ০১৮৩৭-৮০৩৭৮৮ নাম্বার মোবাইল থেকে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতো। রাজগঞ্জের হেলাল জানান- ফেসবুক পেজে ভিভো মোবাইর বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোবাইল ফোনের অর্ডার দেন। তার কাছ থেকে বিকাশে পুরো টাকা নেওয়ার পরও মোবাইলটি দেয়নি হেলালকে। এরকম ভাবে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০০ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এই প্রতারক চক্র মোঃ আল আমিন খাঁন, পিতা- আব্দুল মজিদ, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার- আমগ্রাম। এই ব্যক্তির একটি এনআইডি কার্ডও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে দিয়েছে। বলেছে আমরা যদি ভুয়া হই তাহলে আমাদের নামে মামলা করে দিবেন। এই প্রতারক চক্র একই কৌশলে প্রত্যেক ক্রেতার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রটি কথার ফাঁকে ক্রেতাদের আটকে ফেলে টাকা নিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এই প্রতারক চক্র চট্টগ্রামে তাদের অফিস আছে বলেছে। অথচ এদের অফিস কোথায় তার এখনো জানা যায়নি।
প্রশাসনের কাছে, এই প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারন ক্রেতারা। তানা হলে প্রতারক চক্র এইভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সাধারন সহজ সরল মানুষদেরকে ফতুর করে দেবে। এদের প্রতিহত করা প্রয়োজন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
