করোনার প্রভাব, পোশাকের সঙ্গে ফ্যাশনে যুক্ত হচ্ছে মাস্ক
করোনা মহামারির এ সময় মাস্ক ব্যবহার ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া বিপজ্জনক। তাই গত বছর থেকে এখনো পর্যন্ত মাস্ক সবার সঙ্গী। তবে যেমন তেমন মাস্ক পরলে তো হবে না। এতেও থাকা চায় নতুনত্ব সঙ্গে সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েও ভাবতে হবে। কারণ সব ধরনের মাস্ক আবার সুরক্ষা দিতে পারে না।
বর্তমানে ফ্যাশনে জায়গা করে নিয়েছে বিচিত্র সব মাস্ক। নানা নকশা ও স্বকীয়তা ফুটে উঠছে মাস্কে। রং-বেরঙের বিভিন্ন মাস্কের গুণগত মান ও দামেও আছে পার্থক্য। সস্তায় মাস্ক কিনে ব্যবহার করলেই হবে না, সেটি কতটুকু আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে তা-ও জানতে হবে।
এখন অনেকের কাছে মাস্কই হয়ে উঠেছে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। শুধু মডেলরাই নন, মাস্কের সঙ্গে ফ্যাশনকে মিলিয়ে দিয়েছেন বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। অনেকে এখন ওয়েডিং ড্রেসসেহ যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মাস্ক ব্যবহার করছেন। মাস্ক এখন হয়ে উঠেছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং ফ্যাশনেবল জিনিসে।
সম্প্রতি কারিনা কাপুর খান তার ইনস্টাগ্রামে একটি মাস্ক পরিহিত ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কোনো কুসংস্কার না ছড়িয়ে, মাস্ক ব্যবহার করুন।’ বলিউডে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ কারণেই একটি কড়া বার্তা দিয়েছেন করিনা কাপুর খান।
জানা গেছে, যে মাস্ক পরে নিজের ছবি তুলেছেন কারিনা, সেটির দাম ৩০ হাজার টাকা। ডিজাইনার ব্র্যান্ড লুই ভিতোঁর তৈরি এ মাস্কটি একরঙা ছিমছাম। তবে এক কোণে শোভা পাচ্ছে লুই ভিতোঁর লোগো। তাতেই বোঝা যাচ্ছে মাস্কটির মূল্য।
মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালীন ভারতের অনেক মানুষই কার্টুন প্রিন্ট বা এলইডি ফেস মাস্ক ব্যবহার করছেন। তবে পুনে এবং কটকের দুই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের থেকে নিজেদের রক্ষা তৈরি করেছিলেন সোনার মাস্ক। তারা এ মাস্ক পরে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল সোনার মাস্ক তৈরি করতে।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা বর্তমানে কটন প্রিন্টেড মাস্কের পাশাপাশি এনেছেন সিল্কের মাস্কও। জমকালো জামা-কাপড়ের সঙ্গে মানানসই সিল্কের মাস্ক একদিকে যেমন নতুনত্বের স্বাদ দেবে পাশাপাশি দেবে সুরক্ষাও। বর্তমানে নজর কেড়েছে ফ্যাব ইন্ডিয়ার মাস্ক। অনেকেই পছন্দ করছেন এই সুতির মাস্ক।
সম্প্রতি টলিউডের অভিনেত্রী পাওলি দাম, বিশেষ এক মাসক পরে ভক্তদের চমকে দিয়েছেন। জানা গেছে, ওই মাস্কের নাম ‘গামোসা মাস্ক’। এ মাস্ক পরা ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘সারাদিন এ মাস্ক পরে থাকা যায়।’ বিভিন্ন ধরনের মাস্ক আরামদায়ক না হওয়ায় সারাদিন পরে থাকা সম্ভব হয় না। তবে গামোসা মাস্ক সবসময় পরে থাকা সম্ভব বলে জানান অভিনেত্রী।
সাধারণত চীন বা জাপান থেকে বাংলাদেশে মাস্ক আসে। বর্তমানে দেশিও কাপড়ের মাস্কের চাহিদাও আছে। অনেকে আবার অনলাইনেও বিভিন্ন নকশা ও মেটেরিয়ালের মাস্ক বিক্রি করছেন। তেমনই একজন হলেন লামিয়া তাসমিম। সুঁই সুতো দিয়ে নানারকম ডিজাইন ফুটে তুলেন তিনি মাস্কে। নানা রঙের কাপড়ের মাস্কের উপর বাহারি ডিজাইনের হাতের কাজ করা এ মাস্কগুলোর গ্রহণযোগ্যতাও অনেক, বলে জানান তিনি।
বর্তমানে রাস্তায়, ফুটপাতে, বিভিন্ন অনলাইন শপে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। ফার্মেসিতেও মিলছে নানা ধরনের মাস্ক। রাজধানীর বিভিন্নফার্মেসিতে ডিসপোজিবল নন ওভেন ফ্যাব্রিক মাস্কের দাম ২৫ টাকা। কটন মাস্কের দাম ১১০-১২০ টাকা। অন্যদিকে স্পঞ্জ অ্যান্টি ডাস্ট মাস্ক ৫০ টাকা, এন-৯৫ (৮২১০) মাস্ক ২৫০ টাকা, এন-৯৫ (৮১১০এস) ১৮০ টাকা, পিএম-২.৫ মাউথ মাস্ক ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)