কলারোয়ায় প্রাণিসম্পদ খাতে ১৯’শ খামারী স্বাবলম্বী
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রাণিসম্পদ অফিসের সহযোগিতা নিয়ে ১৯শ খামারী স্বাবলম্বী হয়েছে বলে জানা গেছে। এই প্রাণি খাতে সরকার ব্যাপক ভাবে নজর দারীতে রেখেছেন। বিনা মূল্যে সব ধরনের রোগের ওষুধ দিচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার সরকার গত ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯সালে কলারোয়া যোগদান করেই উপজেলার ছোট বড় সব ধরনের ২১৫৮টি খামারীদের পরামর্শ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন। সেই সাথে দিচ্ছেন গ্রামে গ্রামে নারী ও পুরুষের প্রশিক্ষণ ও ফ্রি ওষুধ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার সরকার এর ভাল পরামর্শে আজ কলারোয়ায় ১৯শ খামারী স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়-উপজেলায় ২১৫৮টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে গাভীর খামার-১৭১৪টি, সোনালী মুরগীর খামার-৭৪টি, ব্রয়লা মুরগীর খামার-১১৮টি, লেয়ার মুরগীর খামার-৩৫টি, হাসের খামার-২৫টি। এছাড়া ছাগলের খামার-১২৫টি, ভেড়ার খামার-৪টি, কোয়েল খামার-৬টি, কবুতর খামার-২৩টি, টার্কি খামার-৭টি রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার সরকার বলেন- উপজেলায় দুধ, মাংস ও ডিম চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদন হচ্ছে। দুধ চাহিদা-০.১৬ লঃ মেঃটন, উৎপাদন-০.১৭২, অতিরিক্ত-০.০১২। মাংস চাহিদা-০.১৩ লঃ মেঃটন, উৎপাদন-০.১৩৯, , অতিরিক্ত-০.০০৯। ডিম চাহিদা-৪.২কোটি, উৎপাদন-৪.২৯, অতিরিক্ত-০.০৯।
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান উল্লেখযোগ্য। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০% সরকারি এবং ৫০% পরোক্ষভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর নির্ভরশীল। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ভিশন হচ্ছে দেশে দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা পূরণপূর্বক মেধাবী, স্বাস্থ্যবান ও বুদ্ধিদীপ্ত জাতি গঠন করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর আধুনিক-লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সম্প্রসারণ সম্পর্কিত কাজ করে যাচ্ছেন।
কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস দরিদ্র জনগণকেই দরিদ্রতা মুক্তিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা.অমল কুমার সরকার সরকারের প্রদত্ত উপকরণ সঠিক ভাবে বিতরণ করে কৃষক ও খামারীদের পাশে থেকে সর্ব সময় সেবক হিসাবে পরামর্শ দেয়া ও সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য উপজেলার সকল খামারীরা অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)