মামলা
কুমিল্লায় জোড়া খুন: মজুদ ছিল বিপুল পরিমাণ হাতবোমা


কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় দুবৃর্ত্তরা শুধু আগ্নেয়াস্ত্র নয়, মজুদ করেছিল বিপুল পরিমাণ হাতবোমা। দেশি তৈরি ৪৮টি হাতবোমা নিস্ক্রিয় করার পর তাতে স্প্রিন্টারের উপস্থিতি পাওয়ার দাবি পুলিশের। ঘটনাস্থলে এসব বোমা বিস্ফোরিত হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা। বোমার বিস্ফারণে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে কুমিল্লার গোমতী নদীর পাড়। ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল একে একে ৪৮টি হাত বোমা নিস্ক্রিয় করে।
বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল কুমিল্লা নগরীর সংরাইশ এলাকার একটি বাড়ি থেকে। তিনটি ব্যাগের মধ্যে দুটিতে পাওয়া গিয়েছিল হাত বোমাগুলো।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সঙ্গে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। ক্ষয়ক্ষতির আশংকা আছে তাই লোকালয় থেকে দূরে নিয়ে বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত। এজন্য বেছে নেওয়া হয় গোমতী নদীর পাড়ে খোলা মাঠ।
পুলিশ বলছে, দেশি তৈরি বোমা হলেও তাতে পাওয়া গেছে স্প্রিন্টারের উপস্থিতি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোহান সরকার বলেন, বোমাগুলোতে স্প্রিন্টারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া বেয়ারিং বলও ব্যবহার করা হয়েছে। বোমাগুলো সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৪৮ টি তাজা হাতবোমা নিস্ক্রিয় করার পর পুলিশ বলছে, এগুলো যদি ঘটনাস্থলে অর্থাৎ যেখানে কাউন্সিলর সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে বিস্ফোরিত হতো তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। দুবৃর্ত্তরা কুমিল্লা নগরীর অন্য কোথাও এরকম হাত বোমা ফেলে রেখেছে কিনা তার খোঁজে নেমেছে পুলিশ।
কুমিল্লায় জোড়া খুন: ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রোমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে এই মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টায় সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম।
তিনি বলেন, নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রোমান মধ্যরাতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পার্শ্ববর্তী ১৬ নং ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই রুমান বলেন, আমার ভাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একদল সন্ত্রাসীর সঙ্গে শাহ আলম ছিল। তার নেতৃত্বে আমার ভাই ও তার সহযোগীকে নির্মমভাবে গুলি করা হয়েছে। সোহেল ভাইকে পরপর ৯টি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে শাহ আলম।
শাহ আলম কী কারণে হামলা করেছে এমন প্রশ্নে রুমান বলেন, অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত শাহ আলম। ভাইয়া শাহ আলমের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন। নানা বিষয় নিয়ে শাহ আলমের সঙ্গে ভাইয়ার দ্বন্দ্ব ছিল।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা নিহত হন। এ ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘আর একটা পাথর সরানো হলে জীবন ঝালাপালা করে দেবো’ : সিলেটের ডিসি সারোয়ার আলম
‘আর যদি একটি পাথরও সরানো হয়, জীবন ঝালাপালা করে দেবো’— বলে কঠিনবিস্তারিত পড়ুন

পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম যুক্ত হচ্ছে: আসিফ মাহমুদ
আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গুরুত্ব দিয়ে স্থান পাচ্ছে জুলাইবিস্তারিত পড়ুন

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ করারবিস্তারিত পড়ুন