কে এই লাইকি তারকা ‘অপু ভাই’
ইয়াসিন আরাফাত অপু ওরফে অপু ভাই। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে বাড়ি। সেখান থেকে লাইকি অ্যাপের মাধ্যমে সারা দেশের একটি প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই কিশোর। সোশ্যাল মিডিয়া লাইকিতে রঙিন চুলে ছোট ভিডিও করে বেশ পরিচিতি লাভ করেন ‘অপু ভাই’।
লাইকি অ্যাপে তাকে অনুসরণ করে প্রায় ১০ লাখ। ইনস্টাগ্রামেও তার অনুসারী ছিল। কিন্তু প্রিন্স মামুন নামের আরেক ‘লাইকি তারকা’র অনুসারীরা সেই ইনস্টাগ্রাম আইডি রিপোর্ট দিয়ে মুছে ফেলে। প্রিন্স মামুনকে কিছুদিন আগেই দিয়াবাড়িতে মারধর করে কিছু তরুণ।
অপু ভাইয়ের অনুসারীরাই মারধর করেছে বলে অনুমান করে গুলিস্তানের একটি মার্কেটে অপু ভাইর দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়।
অপু ভাই সম্পর্কে অপু নজরুল নামের একজন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নোয়াখালীর বার্বার শপে কাজ করা অপু ‘অপু ভাই’ নামে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন লাইকি ও টিকটকে। অপুর উইয়ার্ড হাসি, ক্রিপি হেয়ারস্টাইল ও অদ্ভুত সব ডায়ালগের জন্য এই তরুণকে মূলত রোস্ট করতে করতে বিখ্যাত বানিয়েছে ইউটিউবাররা।
সে কারণেই সে অল্প সময়ের মধ্যেও রিচের দিক দিয়ে মামুনকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখন সে ঢাকা এসে তার ফ্যানক্লাবের ফ্যানদের সাথে মিটআপ ও নতুন বান্ধবীদের সাথে ডেট করে বেড়াচ্ছে।
তবে এই জগতেও আছে বিরোধ। তারই জের ধরে অফুর ফ্যানদের প্রিন্স মামুনের ফ্যানরা কদিন আগে মারধোর করেছে। এত কিছুর পরেও অফু বাই এর রিচ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
তবে অপুর প্রিবার বলছে, সে ঢাকার আশকোনায় থাকত। সেলুনে সময় ব্যয় করত চুল রং করার পেছনে। জানা গেছে, রবিবার উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৬ নম্বর সেক্টরের আলাওল এভিনিউ এলাকায় সড়কে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন অপু। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সোমবার সন্ধ্যায় আলাওল এভিনিউ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উত্তরা-পূর্ব থানার ওসি (তদন্ত) আদিল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রবিবার উত্তরায় রাস্তা আটকিয়ে লাইকির ভিডিও করছিলেন অপু ও তার অনুসারীরা। এসময় পথচারীদের মধ্যে একজন তাদের সরে যেতে বললে অপুর সঙ্গে থাকা যুবকরা ওই ব্যক্তির গায়ে হাত তোলে। সোমবার হত্যাচেষ্টার মামলা হলে অপুকে উত্তরা থেকেই আটক করা হয়।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)