দাওয়াত পায়নি তুরস্ক-চীন-রাশিয়া
গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশের চূড়ান্ত তালিকায় নেই বাংলাদেশ
আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সম্মেলনে ১১০টির বেশি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সম্মেলনে পাকিস্তান, ইরাকের মতো দেশ দাওয়াত পেলেও তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খবর এনডিটিভির।
ওয়েবসাইটে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, চীন দাওয়াত না পেলেও সম্মেলনে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ পদক্ষেপ চীনকে ক্ষুব্ধ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালিকায় রাখা হয়নি তুরস্কক ও রাশিয়াকে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুধু ইসরাইল ও ইরাক আমন্ত্রণ পেয়েছে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য। মিসর, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মিত্রদের দাওয়াত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে এ সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল পলিটিকো ম্যাগাজিন। সেখানেও বাংলাদেশের নাম ছিল না বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তার প্রথম ভাষণে গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজনের অঙ্গীকার করেন। রাশিয়া ও চীনসহ গোটা বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিস্তার ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের আয়োজন করছেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে আমন্ত্রিত দেশগুলোর নেতারা গণতন্ত্র, ব্যক্তিগত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করবেন। এক বছর পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এসব ক্ষেত্রে অগ্রগতি যাচাই করতে আরেকটি ফলোআপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হলে দেশগুলোর নেতাদের সশরীরে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আমন্ত্রিতদের তালিকা দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন
বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত পায়নি তুরস্ক-চীন-রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জো বাইডেন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তার প্রথম ভাষণে গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজনের অঙ্গীকার করেছিলেন। অঙ্গীকার অনুযায়ী ডিসেম্বরের ৯ ও ১০ তারিখ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। মূলত বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিস্তার ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সম্মেলনের আয়োজন করছেন।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় দেখা যায়, গণতন্ত্র বিষয়ে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে দাওয়াত পায়নি ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া, শি জিনপিংয়ের চীন ও রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের তুরস্ক।
যদিও এতে দাওয়াত পেয়েছে ইউক্রেন। যে দেশের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা চলছে।
এ ছাড়া দাওয়াত দেওয়া হয়েছে তাইওয়ানকে। যে দ্বীপ রাষ্ট্রকে চীন তার নিজের অংশ হিসেবেই দাবি করে। যুক্তরাষ্ট্রের এ সম্মেলনে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো স্বাভাবিকভাবেই চীনকে ক্ষুব্ধ করবে। বাণিজ্য, প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চলছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমল থেকেই।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুধু ইসরাইল ও ইরাক আমন্ত্রণ পেয়েছে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য। মিসর, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মিত্রদের দাওয়াত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ এশিয়া থেকে দাওয়াত পেয়েছে— পাকিস্তান, ভারত, মালদ্বীপ ও নেপাল।
আফ্রিকা থেকে দাওয়াত পেয়েছে— ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সাউথ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া ও নাইজারের মতো দেশ।
ইউরোপ থেকে পোল্যান্ড দাওয়াত পেলেও আমন্ত্রিত দেশের তালিকায় নাম নেই হাঙ্গেরির। যদিও সম্প্রতি মানবাধিকার ইস্যুতে পোল্যান্ডের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতবিরোধ চলছিল। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)