শনিবার, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

গৃহবধু অপহরনের মিথ্যা অভিযোগকারীদের শাস্তির দাবীতে কেশবপুরে সংবাদ সম্মেলন

মানবাধিকার সংগঠন পরিত্রানের কর্মকর্তা উজ্জ্বল দাসের বিরুদ্ধে গৃহবধু ঋতুপর্ণা দাসের মিথ্যা অপহরনের অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সোমবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের ভদ্র দাসের পূত্র উজ্জ্বল দাস সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে জানান, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার হরিশ্চন্দ্রকাটি গ্রামের লক্ষন দাসের পুত্র লিটন সরকার (খ্রীষ্টান ধর্মালম্বী)আত্নীয়তার সুত্রে আমাদের গ্রামে (বড়েঙ্গা) যাতায়াত করত এবং আমার বোনের সাথে সম্পর্ক করার জন্য বিভিন্ন ভাবে কু প্রস্তাব দিতো। ঘটনাটি লিটন সরকারের আত্নীয়দের বললে ও কর্ণপাত না করে বরং আমাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করবার জন্যে ষড়যন্ত্র করত। এ ব্যাপারে লিটন সরকারের পিতা লক্ষণ দাসকে ও জানালে তিনি উল্টো আমাদের হুমকি ধামকি দিতো মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করতো। লিটন দাস আমার বোন ঋতুপর্নাকে হাজি মোতালেব মহিলা কলেজের আসার পথে একাধিক বার উক্তত্য করত। গত ৫ই আগষ্ট আমার বোন ঋতুপর্নাকে খুঁজে না পেয়ে গত ৬ ই আগষ্ট আমার পিতা বাদী হয়ে আমার বোনকে পাওয়ার জন্য কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং- ১৮৮। একটা পর্যায়ে লিটন সরকার আমার বোনকে ফুসলিয়ে গত ৫ই আগষ্ট অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি বিবাহ রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং তাকে জোর করে শাখা, সিদুর পরিয়ে পাটকেল থানার পুটিখালী দাস পাড়ায় সুকুমার দাসের ছেলে গোপাল দাসের স্ত্রী লতিকা দাসের (লিটনের বোন) জিম্মায় ঘরের এক গোপন কক্ষে আটকিয়ে রাখে। আমরা আমাদের আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে দিগ্বিবিদিক খোঁজাখুজি শুরু করলে আমাদের এক আত্নীয় ০৯ আগস্ট সংবাদ দেয় যে তোমাদের বোন আমাদের গ্রামে আটকানো আছে। আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন কেশবপুর থানার ডিউটিরত অফিসারকে অবহিত করে সকাল ১০ টার সময়ে ঐ গ্রামের গন্যমান্য স্থানীয় ব্যাক্তির সহযোগিতায় আমার বোনকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করে কেশবপুর থানায় এসে লোক লজ্জা এবং পারিবারিক সম্মান ও বোনের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সাধারণ ডায়েরীটা প্রত্যাহার করি- যার নং- ২৯০। আমার পরিবারের কাছে এ বিষয়ে পাটকেল ঘাটা থানার এসআই সৃব্রত জানতে চাইলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা তাকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে থাকি এবং কেশবপুর থানায় লিটনের পরিবার একটি অভিযোগ করলে আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তা (সেকেন্ড অফিসার) পিন্টু লাল দাসের কাছে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করে তথ্য উপাত্ত জমা দিয়েছি এবং আমার বোনের পরিহিত ২ ভরি ওজনের (কানের দুল, গলার চেইন, নাকফুল, সোনার চুরি) ২২ (ক্যারট) এর সোনা ও নগদ টাকা লিটনের বোন লতিকা শারিরীকভাবে নির্যাতন করে লুট করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আমার বাবা ভদ্র দাস বাদী হয়ে যশোরের বিঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং মামলাটি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে।

এদিকে লিটন সরকার এবং লিটনের পরিবার একজন মানবাধিকার কর্মী উজ্জ্বল দাসকে জড়িয়ে পাটকেলঘাটা থানায় একটি গৃহবধু অপহরণ সংক্রান্ত জিডি করেছেন যার নং-৩৮০ এবং সাতক্ষীরা জেলার বিজ্ঞ আদালতে ১০০ ধারায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। যেহেতু সাতক্ষীরা জেলার বিজ্ঞ আদালতে ১০০ ধারায় অভিযোগ হয়েছে তাহলে অপহরনের বক্তব্যটি ন্যাক্কারজনক ও মিথ্যা। আমার পরিবার আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল এবং যত্নবান। আমরা সাতক্ষীরা জেলার বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবো এবং পাটকেল ঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় আমাদের কাছে জানতে চাইলে আমরা যাবতীয় ডকুমেন্টস দিয়ে সহযোগিতা করবো। এছাড়া গত ১৭ আগস্ট ঋতুপর্না গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যশোরের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লম্পট লিটনের দুভিসন্ধি পরিকল্পনা বুঝতে পেরে আমার বোন তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমার পরিবার ডিভোর্স এর কপিটি তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও লিটন সরকার বরাবর ডাকযোগে ১৮.০৮.২০২০ তারিখে প্রেরণ করেছে।
আমার বোন ঋতুপর্না অপহরণ হয়নি বা তাকে কেউ অপহরন করেনি, সে আমাদের পরিবারের সাথে আছে, ভালো আছে। ঘটনার দিন আমার বোনকে আনার সময় আমার পরিবারের সাথে আমি উজ্জ্বল কুমার দাস উপস্থিত ছিলাম। পরিত্রানের কর্মকর্তা উজ্জ্বল দাস আদৌ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। ভুল তথ্য দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য ধুম্রজাল সৃষ্টি করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক বা প্রশাসনের বিভ্রান্ত করবার চক্রান্ত করছে লিটন, লিটনের পরিবার এবং তাদের আত্নীয় স্বজন। লিটন এবং তার পরিবারের লোকজন আমার বোনকে হত্যা, গুম করে দেওয়ার লাগাতার হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। পরিত্রাণের কর্মকর্তা উজ্জ্বল দাসকে জড়িয়ে সে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তাকে কেন্দ্র করে যে মিথ্যা ডায়েরী করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে মদদদাতা সকল স্বার্থান্বেষীদের-কে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন। আমার বোন ঋতুপর্না, আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করতে পারে, আমার পরিবার সঠিক এবং নায়বিচার পেতে পারে সে জন্য আমরা অন লাইন, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিস্ক মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, সাধারন মানুষ ও সরকারের আইনপ্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উজ্জ্বল দাসের পিতা ভদ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

তালায় বাল্যবিবাহের অভিযোগে ছেলের ভগ্নিপতি ও চাচাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় বাল্যবিবাহের দায়ে ছেলের ভগ্নিপতি ও চাচাকে ষাটবিস্তারিত পড়ুন

তালায় পাখিমারা বিলে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ!

তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন

বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া : তালায় সাবেক এমপি হাবিব

সেলিম হায়দার : স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্টবিস্তারিত পড়ুন

  • শহীদ জিয়া দেশের মানুষের জন্য বাতিঘর : সাবেক এমপি হাবিব
  • তালার খলিলনগরে শহীদ জিয়া স্মৃতি ৮ দলীয় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট
  • তালার সরুলিয়া ইউনিয়ন মৎস্যজীবি দলের কমিটি গঠন
  • তালায় মৎস্য ঘেরে প্রতিপক্ষের হানা, প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ!
  • সাতক্ষীরায় প্রাইমারি স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ
  • তালায় বিএনপির মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি হাবিব
  • কলারোয়ায় সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা
  • তালায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গাছ বিক্রির অভিযোগ!
  • তালা বাজার বণিক সমিতির ১২ সদস্যের একযোগে পদত্যাগ!
  • তালায় মোবাইল দোকান থেকে ৬৫টি স্মার্টফোন চুরি
  • তালায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ
  • তালার মাগুরা ইউনিয়নে জাসাসের কমিটি গঠন