শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

চলে গেলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

মারা গেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি শুক্রবার দিবাগত রাত (৩০ এপ্রিল) সাড়ে ১২টায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ খবর নিশ্চিত করেছ হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান শুভ জানান, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

মৃত্যুকালে আবদুল মুহিতের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

আবুল মাল আব্দুল মুহিত একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও ভাষাসৈনিক ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা, সকাল সাড়ে ১১টায় সংসদ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
দুপুর ২টায় তাঁর মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। এরপর দাফনের জন্য সিলেটে নেওয়া হবে।

একনজরে আবুল মাল আবদুল মুহিত

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল মাল আবদুল মুহিত মারা যান। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

১৯৩৪ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুহিত। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের নেতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজের দ্বিতীয় ছেলে মুহিত। তার মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত গত বছর করোনায় আক্রান্ত হলে ওই বছরের ২৯ জুলাই তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। পরে তিনি করোনামুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন। এরপর থেকেই তিনি শারীরিকভাবে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মুহিত ছিলেন একাধারে বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, কূটনীতিক ও গবেষক। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।

১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ডে উচ্চশিক্ষা নেন মুহিত। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার পর তখনকার পাকিস্তান এবং পরে স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ হতে ২০১৮ পর্যন্ত দুই মেয়াদে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকার সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং পরে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জনমত গঠন করেন। এ কারণে তাকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করা হয়।

পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হিসেবে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন।

অর্থনৈতিক পরামর্শক হিসেবে ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে যোগদান করেছিলেন। চাকরি করা অবস্থায় পাকিস্তান কর্মপরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ও উপ-সচিব ছিলেন।

ওই সময় তিনি পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন ও পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেসে পেশ করেন।

ওয়াশিংটনে তৎকালীন পাকিস্তানের দূতাবাসে প্রথম কূটনীতিবিদ হিসেবে ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপক্ষে নিজ অবস্থান তুলে ধরে চাকরি থেকে ইস্তফা প্রদান করেন মুহিত।

তখন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইকনমিক কাউন্সেলরের দায়িত্ব পালেন করেন তিনি।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব নিযুক্ত হন। ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮১ সালে আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। এরপর তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি এবং উন্নয়ন বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা বা ইফাদেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ, আইডিবি এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়নে সিলেট-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘স্মৃতি অম্লান ১৯৭১’-সহ এ পর্যন্ত ২১টি বই লিখেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৮৪ এবং ১৯৮৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং ফেলো ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলনেরও পুরোধা আবুল মুহিত। বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি।

২০১৫ সালের ১৬ জুন তার নামে রাখা হয় সিলেট জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নাম। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করা হয় আবুল মাল আবদুল মুহিতকে।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শোক

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড.শিরিন শারমিন চৌধুরী।

পৃথক শোক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অনুরূপ ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিটলেট বিতরণ: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আছে এটিবিস্তারিত পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

আয়লা এবং আম্ফানের পরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক। মে মাসের শেষের দিকে আছড়েবিস্তারিত পড়ুন

২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে

২০৫০ সালের মধ্যে মানুষের বৈশ্বিক গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে। তবে একইবিস্তারিত পড়ুন

  • বিমানবন্দরে যাত্রীর শরীরে মিললো সাড়ে চার কোটি টাকার সোনা
  • সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
  • প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল মানুষ এক ছাতার নিচে বাস করবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
  • চাপ আসলেও সংবিধানের বাইরে যাবে না আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের
  • বেনাপোলে বন্ধ থাকবে পাঁচ দিন আমদানি-রপ্তানি, তিন দিন যাতায়াত
  • ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
  • রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য
  • গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া দেশ এগোতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
  • র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি সত্য নয়: যুক্তরাষ্ট্র
  • স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা
  • বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন: রাষ্ট্রপতি
  • জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফল ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে: প্রধানমন্ত্রী