মঙ্গলবার, অক্টোবর ৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

টিউলিপের এখন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত : দ্য টাইমস

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এবং লন্ডনে ‘বিনে পয়সার ফ্ল্যাট’ নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক, যার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্তের সিদ্ধান্তও হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে ওই তদন্ত চলার মধ্যে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব থেকে টিউলিপকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস।

দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর তিনি আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন না বলেও রুপার্ট মারডকের মালিকানায় থাকা ব্রিটিশ সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে। টিউলিপকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনাও করা হয় এতে।

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরই তাকে দায়িত্ব সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগগুলো বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন টিউলিপ।

এমন প্রেক্ষাপটে লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার হিসেবে তাকে বাছাই করাই ‘স্বচ্ছ ছিল না’ মন্তব্য করে বুধবার দ্য টাইমস লিখেছে, টিউলিপ এ পদের জন্য একমাত্র বিকল্প ছিলেন না।

তাকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ার সমালোচনা করে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, স্যার কিয়ার স্টারমার তার উত্তর লন্ডনের প্রতিবেশীদের রাজনৈতিক সুক্ষ্মদর্শিতা ও যোগ্যতা যাই হোক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তাদের বসিয়ে রেকর্ড করেছেন।

যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবাখাতের ভবিষ্যত কিংবা কীভাবে লন্ডনকে শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এই এমপি কমই আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, যাই হোক যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা খাতের দায়িত্বে টিউলিপকে বসানোর সিদ্ধান্ত কতটা অবিবেচনাপ্রসূত ছিল, তা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সামনে আসা অনেক প্রাসঙ্গিক কারণগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের ব্যাপারে অনেকগুলো অভিযোগ সামনে এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তা টিউলিপের আবাসন বা ‘উপহারের ফ্ল্যাট’ এবং এর সঙ্গে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসূত্র খুঁজবেন। তদন্ত চলাকালে তার সরে দাঁড়ানোই উচিত হবে। তবে তদন্তে যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাকে সরকারে ফিরিয়ে আনার পথ খুলে যাবে।

বাংলাদেশের দুর্নীতির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা সামনে আসার আগে ২০২৪ সালের অগাস্টে টিউলিপ তার ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংসদীয় তদন্তের মুখে পড়েছিলেন। সেই তদন্তে তিনি পার হয়ে যান। পরে এ নিয়ে প্রক্রিয়াগত প্রশাসনিক ভুল হয়েছিল বলে ক্ষমা চান।

তবে এরপর জানা যায়, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রের কাছ থেকে ২০ লাখ পাউন্ডের ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে পাওয়ার পর তিনি সেখানে বসবাস করছেন এবং আগের ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া নিচ্ছেন।

আরও প্রকাশ পায়, তার পরিবারকে ‘উপহার হিসেবে দেওয়া’ দুটি ফ্ল্যাটে তিনি বসবাস করছিলেন, যার মধ্যে একটি দুই বেডরুমে কিংস ক্রসের ফ্ল্যাট। শেখ হাসিনার মিত্র একজন আবাসন ব্যবসায়ী ওই ফ্ল্যাট টিউলিপকে ‘বিনে পয়সায়’ দিয়ে দেন।

শেখ হাসিনার আরও এক মিত্রের ‘উপহার হিসেবে দেওয়া’ হ্যাম্পস্টেডের একটি ফ্ল্যাটেও থেকেছেন টিউলিপ, যেটি তার বোনকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও নিজের সম্পত্তির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার যোগসূত্রের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন টিউলিপ।

বাংলাদেশে রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগের পর দুদকের অনুসন্ধান শুরুর বিষয়টিও উঠে এসেছে দ্য টাইমসের সম্পাদকীয়তে।

সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, রাশিয়ার অর্থায়নে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটির ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে টিউলিপ পরিবারের বিরুদ্ধে, যার অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ওই প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানেও ছিলেন টিউলিপ। যদিও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে তিনি।

টিউলিপ তার খালা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিরোধীদের ফাঁদেও পড়তে পারেন। সর্বোপরি তার স্বজনকে দিয়ে, শেখ হাসিনার সহিংস কর্মকাণ্ড, আত্মসাৎ, দুর্নীতি আর নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন দিয়ে সিটি মিনিস্টারকে মাপা উচিতও নয়। কিন্তু তিনি তার সমর্থকদের প্রভাব থেকেও দূরে থাকেননি। যে কারণে তিনি দেশ-বিদেশে নৈতিক তদন্তের মুখে পড়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করবেন ব্রিটিশ সরকারের ইনডিপেনডেন্ট এথিকস অ্যাডভাইজর (স্ট্যান্ডার্ডস ওয়াচডগ) স্যার লাউরি ম্যাগনাস।

দ্য টাইমস লিখেছে, গত জুলাইয়ে মন্ত্রী হওয়ার সময় তিনি তার পরিবারের আর্থিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো কেবিনেট অফিসে স্পষ্ট করেছিলেন কি না, সেটি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা উচিত। আর যেহেতু টিউলিপকে নিয়ে এতসব বিতর্ক হচ্ছে, সেহেতু তিনি মন্ত্রিপরিষদের দায়দায়িত্ব পালনে অক্ষম। দুর্নীতি দমন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক দুর্নীতির অপরাধের ঘটনাগুলোতে তিনি নিজেকেই বাঁচাতে বা দূরে রাখতে পারেননি।

দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়টিতে এ অবস্থায় টিউলিপ সিদ্দিক তার দায়িত্ব আর চালিয়ে যেতে পারেন না। গণমাধ্যমের সামনেও তিনি আসতে পারেন না। তার এখন একমাত্র কাজ হবে অনুসন্ধান চলাকালে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো। কিন্তু যদি তিনি সেটি না করেন, তবে তা হবে স্যার কিয়ার স্টারমারের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিরক্তির কারণ।

টিউলিপের বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে তার পদে বসানোর কথাও লিখেছে সংবাদমাধ্যমটি। তার পরিবর্তে সতীর্থ আর্থিক সেবা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এমা রেনল্ডসকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাধারণ কর্মী নিয়োগে প্রথমবার বাংলাদেশ-সৌদি আরব চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিকবিস্তারিত পড়ুন

সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠালেন ৩৩ হাজার কোটি টাকা

প্রবাসীরা সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ৩৩ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকবিস্তারিত পড়ুন

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি তৈরি করতে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেবিস্তারিত পড়ুন

  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া নিয়ে সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
  • সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে প্রধান শিক্ষকদের ১ দিনের প্রশিক্ষণ
  • হজ প্যাকেজ ঘোষণা: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা
  • ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এল সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা
  • গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, এখন নিজেরাই খেলব: প্রধান উপদেষ্টা
  • বর্তমান সিইসিকে সাবেক সিইসিদের পরিণতি স্মরণ করালেন সুশীলরা
  • নির্বাচনে কারও পক্ষে অন্যায়-বেআইনি নির্দেশনা দেবো না: সিইসি
  • জুলাই আন্দোলনের এক নম্বর কারণ পচা নির্বাচন: ইসি সানাউল্লাহ
  • ‘ডট বাংলা’ ও ‘ডট বিডি’ ডোমেইন নিয়ে সুখবর
  • ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিশ্ব নেতাদের পূর্ণ সমর্থন
  • জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণ : জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে, চলমান থাকবে সংস্কারও