তালায় মিথ্যা চেকের মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা চেকের মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) বিকালে তালা প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন পাটকেলঘাটা থানার নোয়াকাটি গ্রামের মৃত এরফান আলী সরদার স্ত্রী মোছাঃ সখিনা খাতুন।
মোছাঃ সখিনা খাতুন লিখিত বক্তব্য বলেন, আমার স্বামী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কুমিরা ইউনিয়ন কমান্ডার ছিলেন। আমার প্রয়োজনে স্থানীয় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাটকেলঘাটা শ্রমজীবী সমবায় সমিতি (যাহার পরিচালক শেখ রহমত উল্লাহ) থেকে গত ২১-১১-২০২০ তারিখে চেকের বিনিময়ে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করি। এই টাকার মেয়াদ ছিল দুই বছর। এই টাকার মধ্যে প্রায় এক লক্ষ টাকা আমি পরিশোধ করি। করোনা পরবর্তী সময় এবং আমার ছেলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর আমরা একেবারে হত বিহোবল হয়ে পড়ি। যে কারণে বাকি টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে আমি সমিতিকে অবহিত করি। যে বাকি টাকা আমি ধিরে ধিরে পরিশোধ করে দিব। কিন্তু হঠাৎ করে ১৩-৩-২০২৩ তারিখে আমার চেক ডিজাইনার করে আমার নামে ১৩৮ ধারায় মামলা ২৪ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার মামলা দায়ের করে সমিতি।
গত ০৮-০৩-২০২৫ তারিখে আমাকে ও আমার পুত্রকে উক্ত মামলা মীমাংসা করার জন্য অফিসে ডাকে। আমি ও আমার পুত্র আহসান হাবিব সরল বিশ্বাসে তাদের কথামতো অফিসে হাজির হলে সমিতির পরিচালক শেখ রহমত উল্লাহ ও তাহার সহযোগী শেখ ইমন সহ তার অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরাও রুমে ঢুকে আমাকে ও আমার পুত্রকে ব্যাপক হুমকি ধামকি ভয় ভীতি হুমকি দিয়ে আমার পুত্রকে জিম্মি করে কাছে থাকা চেক বইয়ের এসবি ৬০০১ ২৪০৭০৬৫ নম্বর পাতায় ১লক্ষ, এসবি ৬০০১ ২৪০৭০৬৬ নম্বর পাতায় ১লক্ষ, এসবি ৬০০১ ২৪০৭০৬৭ নম্বর পাতায় ১লক্ষ, এসবি ৬০০১ ২৪০৭০৬৮ নম্বর পাতায় ১লক্ষ, এসবি ৬০০১ ২৪০৭০৬৯ নম্বর পাতায় ৫০ হাজার টাকা লিখে স্বাক্ষর করে নেয় এবং সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়।
তিনি আরও বলেন যে, শ্রমজীবী সমবায় সমিতি কর্মী ছিলেন নোয়াকাটি গ্রামারে ইলিয়াস হোসেন। সে ২০১৭ সালের শেষের দিকে চাকুরীচূত্য হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় সমিতি থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে আমার নামিও জনতা ব্যাংকের ৪টি চেকের পাতা থাকে। ইলিয়াস হোসেনের সাথে অফিসের দন্দ থাকার কারণে মিথ্যা ও ভিত্তিহিন ভাবে ইলিয়াসজের ঋনের জামিনদার দেখাইয়া আমার নামে সূদ সহ ২৪ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়াও আমার স্বামীর নামে একটি ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া ছিল। উক্ত ৩ লক্ষ টাকা থেকে অফিস এখন পাবে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু মামলায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার চেকের মামলা করেন।
এর পর থেকে সমিতির লোক জন বিভিন্ন সময় আমাদের বাড়িতে আসে এবং আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। পরিশেষে আমি সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন প্রশাসন এর কাছে সু-বিচার পাইবার আবেদন করিতেছি।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
