নড়াইল শহরে যেখানে-সেখানে প্রস্রাব: পরিবেশের পাশাপাশি মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনজীবন
নড়াইল শহরের যেখানে-সেখানে প্রস্রাব করায় পরিবেশের পাশাপাশি মানুষের মধ্যেও রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে। সড়কের যেসব স্থানে এ ধরনের কাজ হচ্ছে সেখানে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা দূষিত হচ্ছে। আর সড়কের ওই স্থান পার্শ্ববর্তী সড়কের চেয়েও দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং অনেক গাছ মরে যেতে দেখা যাচ্ছে।
অপদিকে, নড়াইলে মশায় অতিষ্ঠ নড়াইল শহর। নড়াইল শহরে সন্ধ্যার পর থেকে চলছে মশার উপদ্রব। অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বাসিন্দাদের জনজীবন। শীতের শেষে উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে শহরবাসী রীতিমতো আতঙ্কিত। হঠাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাকেই মশার উপদ্রবের মূল কারণ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
তবে শহরের বেশিরভাগ স্থানেই যত্রতত্র জমে থাকা পানির কারণে কর্তৃপক্ষের নেওয়া মশকনিধন কর্মসূচিতেও মিলছে না স্বস্তি।
জানা গেছে, নড়াইল সদর পৌরসভা ১৯৯৯ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হওয়া নড়াইল পৌরসভার ওর্য়াড সংখ্যা নয়টি। বর্তমানে বসবাসযোগ্য জনসংখ্যার পরিমাণ প্রায় এক লাখ ষাট হাজার।
নড়াইল পৌরসভার বাসিন্দা রাজু শেখ জানান, পৌর এলাকায় কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং মানব সৃষ্ট দূষণের কারণে রাত-দিন সবসময়ই মশার উৎপাত। ঘরে-বাইরে সবখানে মশার কামড়ে নাজেহাল নড়াইল শহরবাসী।
পৌরসভার গৃহিণী মালা বেগম জানান, মশার উপদ্রব এত বেড়েছে কয়েল জ্বালিয়েও মিলছে না প্রতিকার। ঘরে ছোট বাচ্চা রয়েছে, সব সময় মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়। তার জন্যে মশাবাহিত রোগ নিয়েও ভয় রয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ চান তিনি।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন, মশকনিধন ওষুধ ছেটানো হচ্ছে। পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারও প্রয়োজন রয়েছে।
সেলক্ষ্যে পৌরবাসীকে সচেতন করছেন বলে জানান তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)