শনিবার, নভেম্বর ২, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মিয়ানমারে ৬২ সৈন্যকে হত্যা, আরও ঘাঁটি দখলে নিলো বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারজুড়ে চলমান সংঘাতের গত তিন দিনে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর কাছে কয়েকটি সেনা ঘাঁটি এবং ৬২ জন সৈন্য হারিয়েছে জান্তা।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি।

দখল হওয়া ঘাঁটিগুলো মিয়ানমারের সাগাইং, ম্যাগউই, মান্দালয় জেলা এবং কাচীন ও কারেন প্রদেশে অবস্থিত। তবে জান্তা বাহিনীর কতগুলো ঘাঁটি বিদ্রোহীরা দখলে নিয়েছে সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দেশটির জান্তাবিরোধী সশস্ত্র দুই বিদ্রোহীগোষ্ঠী পিপল’স ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ) এবং এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন (ইআও) সংঘাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

জান্তার পক্ষ থেকে এখনও এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে ইরাববি বলেছে, পিডিএফ ও ইআওর গণমাধ্যম শাখার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে এই সংবাদমাধ্যমটির।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী দুটির নেতারা জানিয়েছেন, গত বছর মিয়ানমারের সাগাইং, ম্যাগউই, মান্দালয় জেলা এবং কাচিন ও কারেন প্রদেশের কিছু এলাকা দখলে নেয় পিডিএফ এবং ইআও জোট। সেই এলাকাগুলো ফের দখল করার জন্য জানুয়ারির শেষদিকে অভিযান শুরু করেছিল জান্তা এবং তাদের সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

ওই অভিযানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাত থেকে কিছু এলাকা পুনর্দখল করতেও সক্ষম হয়েছিল জান্তা এবং জান্তা সমর্থক একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। কিন্তু গত তিন দিনে জান্তার পুনর্দখল করা অধিকাংশ এলাকা থেকে সেনা সদস্য ও জান্তাপন্থিদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিডিএফ ও ইআওর নেতারা।

সবচেয়ে বেশি সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন মান্দালয় জেলার সান পিয়া এবং কারেন প্রদেশের থান্ডুয়াঙ্গি শহরে। পিডিএফ জানিয়েছে, এ দুই এলাকায় জান্তা-বিদ্রোহী সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন সেনা।

এছাড়া কারেন প্রদেশের একটি রত্নপাথরের পাথরের খনিও বর্তমানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে চলে গেছে। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গত ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর।
তবে এই লড়াই নতুন গতি পেয়েছে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে।
ওই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচিকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরপরই ফুঁসে উঠেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনতা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। কিন্তু মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করার পর ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেয়া শুরু করে।

২০২২ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টে (নাগ) যোগ দেন। তারপর থেকে মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী লড়াই নতুন মাত্রা পেয়েছে।

২০২৩ সালে বছরজুড়ে দেশের বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা। এসব এলাকার মধ্যে ভারত ও চীন সীমান্তও রয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

তুরস্কে কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের মুয়াজ

২০১৬ সালের পর এই প্রথম তুরস্কে অনুষ্ঠিত ৯ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়বিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও ২৫২ এসআই বহিষ্কার প্রসঙ্গে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের জনগণের মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক স্বাধীনতাবিস্তারিত পড়ুন

আওয়ামী লীগসহ ১১ দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে করা রিট প্রত্যাহার

আওয়ামী লীগসহ ১১ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চেয়ে করা রিট প্রত্যাহারবিস্তারিত পড়ুন

  • বাংলাদেশি না থাকায় ধুঁকছে কলকাতার পর্যটন ও হাসপাতালগুলো
  • নগ্ন ছবি লেনদেন আটকে দেবে গুগলের নতুন ফিচার
  • উগান্ডায় বন্দি ভারতীয় ধনকুবেরের কন্যা, কে এই বসুন্ধরা
  • ইসরায়েল ইরানকে নিয়ে ‘ভুল গণনা’ করেছে, আমরা ‘ঠিক’ করে দেব : খামেনি
  • যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ পদ্ধতি কী এবং কীভাবে কাজ করে
  • বিশ্বের সবচেয়ে দামি কেন এই মাছ?
  • বিশ্বের যে ৩ জন মানুষের পাসপোর্ট লাগে না
  • ট্রুডোর দাম্ভিকতায় ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে: নয়াদিল্লি
  • দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় পিটার হাস
  • ফের তলানিতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক
  • জাতিসংঘ তার কর্মীদের রক্ষা করতে পারে না, এটি লজ্জার: এরদোগান
  • মালদ্বীপে বিমান পরিষেবায় সেরা ইউএস-বাংলার জাহিদুল