অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ
যবিপ্রবির কর্মকর্তার কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় যবিপ্রবির কর্মকর্তার কক্ষ ভাংচুর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্যের সাবেক একান্ত সচিব ও বর্তমান কর্মকর্তা সমিতির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসানের অফিস কক্ষে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
২০ জুলাই সোমবার দুপুরে কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদলসহ তার অনুসারীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মচারী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি আরশাদ আলী জানান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাদের পদের আপগ্রেডেশন বিভিন্ন কারনে বিলম্ব হয়েছে তারা গতকাল রবিবার উপাচার্য বরাবর আবেদন পেশ করেন। তারই প্রেক্ষিতে আজ উপাচার্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির সাথে মিটিংয়ে বসেন। মিটিং পরবর্তী সময়ে আপগ্রেডেশন বঞ্চিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা মিটিংয়ের ফলাফল কর্মকর্তা সমিতির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসানের নিকট জানতে চাইলে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের গালি দেন ওই কর্মকর্তা। যার ফলশ্রুতিতে সেখানে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। কর্মকর্তা কামরুল হাসান যাদেরকে এ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তারা এ ঘটনার বিচার চেয়ে রেজিষ্ট্রারের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন।
তিনি আরও জানান, ইতোপূর্বে উপাচার্যের সাবেক পিএস কামরুল হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেজিষ্ট্রারকে নিয়ে কুমন্তব্য করেন। এছাড়াও সেকশন অফিসার শাহিন হোসেনকেও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দেন। এসব সব ঘটনার বিচার চেয়ে স্মারকলিপি ও চিঠি দেওয়া হলে আজও বিচার হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। চাকরি দেবার নাম চাকরীপ্রত্যাশীর নিকট ১৭ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেছেন সংবাদ সম্মেলনে যবিপ্রবিতে চাকরীর্প্রাথী মুনজুরুর।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামরুল হাসান যবিপ্রবির প্রক্টর বরাবর ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্ল্খে করে লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত বক্তব্যে জানান, উপাচার্য মহোদয়ের সাথে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির মিটিং শেষ করে ৫ তলায় নিজ কক্ষে চিঠি লেখার জন্য কর্মকর্তা সমিতির কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করছিলাম। এসময় আনুমানিক বেলা ১.৪০ ঘটিকায় বদিউজ্জামান বাদলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী আমার রুমে প্রবেশ করে বলে ফোন রাখ, আজ তোর খবর আছে, তোকে আমি মেরেই ফেলবো বলে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিতে থাকেন এবং চেয়ার উচিয়ে মারতে আসে বাদল।
এ সময় রেজিষ্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার শাহিন হোসেন, ইকবাল হোসেন, ট্রেজারার দপ্তরের আরিফুল ইসলাম শিন, কর্মচারী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি আরশাদ আলী, স্টেট অফিসার হাসান আলী সহ তাদের অনুসারীরা তাকে টেনে হিচড়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি ধামকি দেন।
যশোর সাজিয়ালি ফাড়ির পুলিশের উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুপক্ষের ঝামেলায় অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির তৈরী হয়েছিল। আমরা ক্যাম্পাসে গিয়ে দুপক্ষের সকলের নিকট সবকিছু শুনি এবং তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাড়িতে নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রায় সকলেই চলে গেছেন তবে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখনও কোনোপ্রকার মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি এবং কাউকে আটকও করা হয়নি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)