শনিবার, মে ১৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

যে কারণে মহররমের ৯ তারিখ রোজা রাখবেন

আরবি হিজরি সনের মহররম মাস সম্মানিত হওয়ার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আশুরা বা মহররমের ১০ তারিখ। পৃথিবীর শুরু থেকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা এ দিনে সংঘটিত হয়েছে।
ফলে ইসলামি শরীয়তে কিছু দিনে যে স্বতন্ত্র আমলের কথা বলা হয়েছে, তন্মধ্যে আশুরা’র দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহুল। এ দিন রোজা রাখলে বিগত বছরের গোনাহের কাফফারা হয়ে যায়।

‘রাসূল (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা আল্লাহর মাস মহররমের আশুরার রোজা।’ (সুনানে কুবরা: ৪২১০)।

আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রোজা রাখার জন্য এত অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি এই আশুরার দিন এবং রমজান মাসের রোজার প্রতি। (বুখারি)।

কিন্তু মহররমের ৯ তারিখ কেন রোজা রাখতে হয়? আর আশুরায় রোজা রাখা সম্পর্কে বিশ্বনবীর (সা.) নির্দেশনা কী ছিল?

মহররম মাসের রোজা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আশুরার রোজা রাখার মাধ্যমে আমি এ আশা রাখি যে, আল্লাহ তায়ালা এ রোজাকে আগের বছরের গোনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করবেন।’ (মুসলিম)।

যে কারণে মহররমের ৯ তারিখ রোজা রাখবেন:

মহররম মাসে আশুরা উপলক্ষ্যে দুদিন রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কেননা এক দিন রোজা রাখলে তা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি যদি পরের বছর বেঁচে থাকি তবে আমি (মহররমের) নবম দিনও রোজা রাখব।’ (মুসনাদে আহমাদ)।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা রাখেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে রোজা রাখতে বলেন। তখন তারা (সাহাবায়ে কেরাম) বললো- হে আল্লাহর রাসূল! (সা.) এ দিনটিতে ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানরাও রোজা পালন করে।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ চাইলে আমরা পরের বছর মহররমের ৯ তারিখও রোজা পালন করব।’ কিন্তু পরের বছর বিশ্বনবী (সা.) ইন্তেকাল করেন।’ (মুসলিম)।

এ কারণেই মুসলিম উম্মাহর বিখ্যাত ইসলামিক স্কলারদের অভিমত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহররমের ১০ তারিখ রোজা রেখেছেন আর পরের বছর ৯ তারিখ রোজা রাখার নিয়ত করেছিলেন।

সুতরাং মহররমের ৯-১০ রোজা রাখা উত্তম। আর এতে রয়েছে অনেক কল্যাণ ও বরকত। মহররমের ১০ তারিখের পাশাপাশি ৯ তারিখও রোজা ভালো। এ ছাড়াও মহররম মাস জুড়ে রোজা পালন ও ইবাদত-বন্দেগিতে রয়েছে অনেক সাওয়াব ও কল্যাণ।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে মহররমের ৯-১০ তারিখ মোতাবেক ২৯-৩০ আগস্ট রোজা পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ইন্টারনেটের দাম নিয়ে আসছে সুখবর

এলজিআরডি এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ইন্টারনেটবিস্তারিত পড়ুন

‘পদ ছাড়ার পর একা হয়ে যাবো’, কেন বললেন প্রেস সচিব

শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সময় যারা আমার প্রশংসা করতেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউবিস্তারিত পড়ুন

তিন আসামিকে খালাস, রায় ‘মেনে নিতে পারছেন না’ আছিয়ার মা

মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটুবিস্তারিত পড়ুন

  • সেই শিশু আছিয়া ধ*র্ষ*ণ ও হ*ত্যা: হিটু শেখের মৃ*ত্যুদ*ণ্ড, খালাস ৩
  • বাংলাদেশের সীমান্তে কাদের ঠেলে দিচ্ছে ভারত, কেন দিচ্ছে?
  • সহজ শর্তে ঋণ পাবেন জুলাই অভ্যুত্থানের আহত ও শহীদদের পরিবার
  • শ্যামনগরে ‘রান ফর ওয়াটার’ ম্যারাথন: সুপেয় পানির দাবিতে নতুন উদ্যোগ
  • দেশকে এগিয়ে নিতে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন : সালাহউদ্দিন
  • আকাশেই খুলে পড়ে বিমানের চাকা, নিরাপদে অবতরণে প্রশংসায় ক্যাপ্টেন
  • জামায়াতকে সবসময় স্রোতের বিপরীতে কাজ করতে হয়েছে: ডা. শফিকুর
  • উপদেষ্টার ওপর পানির বোতল নিক্ষেপ পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র : এ্যানী
  • কুমিল্লায় অনেক উপজেলায় বিএনপির রাজনীতি আ.লীগের টাকায় চলে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • নলতায় শিশুতোষ গ্রন্থ ও লিটল ম্যাগাজিন ‘মিতালী’র বর্ণাঢ্য প্রকাশনা উৎসব
  • নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে: মির্জা আব্বাস
  • সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা: গ্রেডভিত্তিক ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভাতার সুপারিশ