শার্শায় ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ১০ বছর ধরে চাকুরি করার অভিযোগ
বেনাপোল প্রতিনিধি : শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্যামল কুমার রায় নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যের সনদ জাল করে নিজের নাম বসিয়ে তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরি করে আসছে।
তথ্যানুসদ্ধানে জানা যায়, শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় বিগত ২৩/১০/১৩ ইং তারিখে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। কিন্তু সেখানে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন সনদ (এনটিআরসিএ) জাল করে অন্যের সনদ নিজের নামে করে জমা দেন। কাব্যতীর্থ বিষয়ে যাহার রোল নং- ১১৯১১২৪৪ সনদে পাশের সাল-২০০৮ জমা দেন। উক্ত ২০০৮ সালের রোল নং-১১৯১১২৪৪ এনটিআরসিএ এর ওয়েব সাইটের ইন্টারনেটে যাচাই করে দেখা যায় নামের কোন মিল নেই। সেখানে নাম আছে দিগন চন্দ্র মিত্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকুরিতে যোগদানের সময় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সনদে চাকুরিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন চাকুরি করে আসছে সূচতুর শ্যামল কুমার রায়। পরে ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি সরকারী করণ হলে আটকে যান শিক্ষক শ্যামল কুমার রায়। শিক্ষা বোর্ডের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের বিপুল অর্থ সেলামী দিয়ে সে যাত্রা রক্ষা পায়। এলাকাবাসির দাবি ভুয়া সনদে চাকুরি প্রাপ্ত শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় এর বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত পূর্বক আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় এর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোন সনদ জাল নাই। সব সঠিক আছে। আমার চাকুরি সরকারী করণ হয়ে গেছে আপনারা লিখলে আমার কিছুই হবেনা।
শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, আমি কিছুদিন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছি। এব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (একডেমিক) নুরুজ্জামান’র কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) জনবলমাঠামো ও এ.পি.ও. নীতিমালায় চাকুরির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ বাধ্যতা মূলক। এরকম অভিযোগ থাকলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)