সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ


ওমর ফারুক বিপ্লব: সাতক্ষীরা শহরে পলাশপোল বউ বাজারে সরকারের খোলা বাজারের খাদ্য বিক্রয়(ওএমএস)কার্যক্রমে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সরকারের নির্ধারিত বরাদ্দকৃত চাল ও আটা সাধারন মানুষকে দিচ্ছে না।গোপনে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর খাদ্য গুদামের সূত্রে জানা যায়,সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন ৩০ টাকা দরে প্রত্যেক গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল সর্বমোট ১৩০জন গ্রহককে প্রদান করা ও ২৪ টাকা দরে প্রত্যেক গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৫ কেজি আটা সর্বমোট ১৩০জন গ্রহককে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ডিলার মোঃ শাহিনুর জামান তার নামে বরাদ্দকৃত চাল ও আটা সাধারন মানুষকে দিচ্ছে না। ডিলার প্রায়ই সকাল ১১টার মধ্যেই বিক্রি বন্ধ করে দোকান বন্ধ করে দেয়। শহরের পৌর ৯নং ওয়ার্ডের পলাশপোল বউ বাজারে এলাকায় এই ডিলারের দোকান থেকে অনেকেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী ভুক্তভোগী মুজিবার জানান, ডিলার মোঃ শাহিনুর জামানের ব্যবহার খুবই খারাপ।প্রত্যেকটা মানুষের সাথে খারাপ আচারণ করে। সে জন্য মানুষ এখন কম আসে ৭০থেকে ৮০ জনের মতো মানুষ আসে চাল ও আটা নিতে। আরো বলেন আমিও আর আসবো না কারণ আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু আমাদের ও তো সম্মান আছে। গভীর অনুসন্ধানে জানা যায়,প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ থেকে আইডি কার্ডের ফটোকপি নেয়া হচ্ছে। সেই আইডি কার্ডের ফটোকপির উপরে মেসার্স আরিয়া ট্রেডার্স নামের একটি সিল সই রয়েছে। ওই আইডি কার্ডের ফটোকপিতে ডিলার মোঃ শাহিনুর জামান তারিখ দিয়ে দেবে ৭দিন পর আটা নিতে হবে এবং ১৫দিন পর চাল নিতে হবে।আরো জানা যায়, ২৬০ জনকে চাল ও আটা দেয়ার কথা থাকলে দেয়া হচ্ছে ৭০থেকে ৮০ জনের কিন্তু খাতা কলমে হিসাব থাকে ২৬০ জনের। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ওএমএস খাদ্য বিক্রয়ের নিয়ম সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে নিতে হবে,প্রতিদিনের যে বরাদ্দকৃত খাদ্য দেয়া হয় সেটা থাকা পর্যন্ত সকল শ্রেনীর কর্মজীবি মানুষের কাছে বিক্রয় করতে হবে। কিন্তু ডিলার মোঃ শাহিনুর জামান সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী না মেনে তার ইচ্ছা মতো কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ওএমএস এর ডিলার মোঃ শাহিনুর জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বলেন, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিদিন যে আগে আসবে সে লাইনে দঁড়িয়ে তাকে চাল ও আটা নিতে হবে।কিন্তু কিছু দিন আগে মারামারি হয়েছে সে জন্য এলাকার কিছু নেতারা থেকে আইডি কার্ডের ফটোকপি নেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আইডিকার্ডে লিখে দেয়া হচ্ছে ৭দিন পরে দেবো না কি ১০দিন পরে দেবো।এইভাবে কি দেয়ার নিয়ম আছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নিয়ম না থাকলেও কিছু করার নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ এস এম মাহফুজুল আলম বলেন,এই ভাবে চাল ও আটা দেয়ার তো নিয়ম নাই বিষয় টা আমি দেখছি এবং আপনারাও একটু খোঁজখবর রাখেন। ডিলার মোঃ শাহিনুর জামান আটা ও চাল কোন জায়গায় বিক্রি করছে কিনা এমন প্রমান পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরায় ২ নারীসহ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ২৮ জন চুড়ান্ত
গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে সাতক্ষীরা জেলাবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় কোচিং সেন্টার বন্ধে জেলা প্রশাসকের কঠোর নির্দেশণা
গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কঠোর নির্দেশনাবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় ৯-১৫ বছর বয়সী ৫লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে
নিজস্ব প্রতিনিধি: টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ICT কোচিংবিস্তারিত পড়ুন