সীমান্তে ওপারে মিললো বাংলাদেশি গ্রাম পুলিশের হাত-পা বাঁধা ম*রদে*হ


খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার তবলছড়ি সীমান্তের ওপারে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরায় মো. হানিফ মিয়া (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নিহতের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি গ্রাম পুলিশের সদস্য ও উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের বং পাড়ার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সবশেষ শুক্রবার ‘হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহের’ একটি ভিডিও দেখে হানিফ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেছে বলে জানান মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর আলম।
হানিফ মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হানিফ ভাত খেতে বসেন। এ সময় একটি ফোনকল পেয়ে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তিনি জানিয়ে গেছেন বেলালসহ দুই লোক তাকে ডেকেছেন। আমি আমার স্বামীর মরদেহ ফেরত চাই, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাই।
তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ ওসমান আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে হানিফ নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার তবলছড়ির ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সীমান্তে সংলগ্ন এলাকায় এক বাংলাদেশির মরদেহ পড়ে থাকার ভিডিও দেখে তার স্ত্রী পারভীন লাশটি শনাক্ত করেন।
ইউপি সচিব আরও বলেন, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শর্ট প্যান্ট পড়া ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পড়ে আছে।
পুলিশ জানায়, হানিফসহ পাঁচ ব্যক্তি ভারতের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে বিএসএফ ধাওয়া দেয়। এতে চারজন পালিয়ে আসে। কিন্তু হানিফ বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত একটি ভিডিওতে মরদেহ দেখেন হানিফের ছেলে এবং শ্যালক। তারা পুলিশকে জানায় মরদেহের সঙ্গে নিখোঁজ হানিফের মিল রয়েছে। বর্তমানে মরদেহটি কোথায় আছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল বলেন, হানিফ মিয়া তবলছড়ি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের একজন সদস্য। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তার মরদেহ এখনও সীমান্তের ওপারে রয়েছে।
জামিনিপাড়া ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা মেজর মাসুদ রানা বলেন, ভারতের সীমান্তে মরদেহ পড়ে আছে এমন খবর শোনা গেছে। তবে কেউ এ ব্যাপারে বিজিবিকে লিখিত বা মৌখিকভাবে জানায়নি। এছাড়া বিএসএফের তরফ থেকেও কোনো বার্তা আসেনি।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
