৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ৯ম শ্রেণির ছাত্রের


রাজশাহী নগরীর খড়খড়ি এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোর। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও আরএমপির চন্দ্রিমা থানার পুলিশ জানায়, চন্দ্রিমা থানার খড়খড়ি এলাকার একটি মহল্লায় গতকাল বুধবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয় সন্ধ্যার দিকে।
এ ঘটনায় একইদিন সন্ধ্যায় ওই কিশোরকে (১৬) আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর জানান, সকালে শিশুটিকে বাসায় রেখে বাবা ভ্যান চালাতে চলে যান। শিশুটির মা বাইরে কাজে যান।
এ সুযোগে ওই কিশোর বাসায় ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ওই কিশোর গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ আরও জানায়, দুপুরে শিশুটির বাবা-মা ফিরে এসে দেখেন শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। রক্তক্ষরণ দেখে শিশুটির মা তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে সন্দেহ করেন।
দ্রুত নিয়ে যান গ্রামের এক ডাক্তারখানায়। চিকিৎসক দেখেই বলে দেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দ্রুত মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
শিশুটি তার মাকে জানায়, ওই কিশোর তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। দুপুরের পর শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, শিশুটির বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর হাসপাতালে আনতে কিছুটা দেরি হওয়ায় রক্ত দেওয়ার দরকার হয়। তবে দ্রুত সময়ে সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত হওয়ায় তার শারীরিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল। আশঙ্কার কারণ নেই। ওসিসি থেকে শিশুটির চিকিৎসা ও পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনীর আরও জানান, পরিবার ও এলাকাবাসী ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে না জানিয়ে গ্রামের লোকদের নিয়ে ধর্ষক কিশোরকে ধরতে খোঁজাখুঁজি করেন। এতে কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে। তারা সন্ধ্যায় জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান এবং আইনি পদক্ষেপ নেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
