৮ উইকেটে হারল বাংলাদেশ
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই করে ফেলেছে বাবর আজমের দল।
তাইজুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে মিলেছিল ৪৪ রানের লিড। আর তাতেই জেগেছিল পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে জয় দিয়ে শুরুর সম্ভাবনা। কিন্তু ব্যাটারদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যর্থতায় উল্টো বড় পরাজয় দিয়ে শুরু হলো টাইগারদের নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের জয় ৮ উইকেটের ব্যবধানে। বাংলাদেশের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই করে ফেলেছে বাবর আজমের দল। দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিকের উদ্বোধনী জুটিতেই তারা পেয়েছিল ১৫১ রান।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের ১১৪ ও মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানে ভর করে ৩৩০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে আবিদ আলির ১৩৩ রানের পরও ২৮৬ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। বাঁহাতি স্পিনে তাইজুল একাই নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। লিটন দাসের ৫৯ রানের সুবাদে ১৫৭ পর্যন্ত যায় দলীয় সংগ্রহ। শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ৫ উইকেট। পাকিস্তানের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রানের।
যা খুব সহজেই করে ফেললো তারা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের নায়ক আবিদ আলি। মাত্র ৯ রানের জন্য জোড়া সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। আরেক ওপেনার শফিক খেলেছেন ৭৩ রানের ইনিংস। নিজের অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়েছেন শফিক।
জয়ের অর্ধেক কাজ চতুর্থ দিন বিকেলেই করে রেখেছিলেন আবিদ ও শফিক। বিনা উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে আজকের খেলা শুরু করেন তারা। দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন দুই ওপেনার। মনে হচ্ছিল, পুরো ১০ উইকেটেই হয়তো জিতবে পাকিস্তান।
দিনের দশম ওভারে আজ প্রথমবারের মতো আক্রমণে আনা হয়েছিল মিরাজকে। ওভারের পঞ্চম বলে অভিষিক্ত শফিককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি শফিক। আম্পায়ার্স কলের কারণে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।
আউট হওয়ার আগে শফিক খেলেছেন ৮ চার ও ১ ছয়ের মারে ৭৩ রানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৫২ রান। দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের অভিষেক রাঙিয়ে রাখলেন ২২ বছর বয়সী এ তরুণ। শফিকের বিদায়ে ভাঙে ১৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ইনিংসে আবিদ ও শফিক গড়েছিলেন ১৪৬ রানের জুটি।
শফিক ফিরে গেলেও ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির পথেই এগুচ্ছিলেন আবিদ। কিন্তু তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন তাইজুল। পাকিস্তানের ইনিংসের ৫০তম ওভারের প্রথম বলেই আবিদকে ফেরান তিনি। তার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন আবিদ।
কিন্তু ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানান লেগ বিফোরের। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার। আউট হওয়ার আগে ১২ চারের মারে ৯১ রান করেছেন আবিদ। মাত্র ৯ রানের জন্য ম্যাচে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি করা হয়নি তার।
এরপর বাকি পথ নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন অভিজ্ঞ আজহার আলি ও অধিনায়ক বাবর আজম। অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। আজহার ২৪ ও বাবর ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন দুই ইনিংস মিলে ২২২ রান করা আবিদ আলি
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)