রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

‘হেফাজতের মতো বিশৃঙ্খলা করতে নয়াপল্টনে সমাবেশ চায় বিএনপি’

আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপি যে ধরনের সমাবেশ করতে চাইছে, তার জন্য পূর্বাচল ছাড়া জায়গা নেই বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, হেফাজতের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, খালি কলসি বাজে বেশির মতোই বিএনপি নেতারা ঢাকায় তাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বাগাড়ম্বর করছেন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপি নেতারা তো সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন ১২-১৩ বছর ধরে। উনারা এক দফা আন্দোলনেই তো আছেন। আর ১০ ডিসেম্বর কতটুকু কি হবে সেটা আমরা জানি এবং বুঝি। কারণ সারা দেশে তো উনারা সমাবেশ করেছেন। সমাবেশের নামে কোনো কোনো জায়গায় পিকনিক করেছেন, বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি করেছেন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের যে হাঁকডাক তারা দিয়েছিলেন তার কোনো প্রতিফলন সমাবেশগুলোতে ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কোনো সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে যত মানুষ হয়েছে, তাদের মহাসমাবেশগুলোতে সে রকম হয়নি।

কুমিরের একই ছানা বারবার দেখানোর মতো, বিএনপির সমাবেশগুলোতে একই লোক সারা বাংলাদেশে ঘুরছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে লঞ্চে করে বরিশালে মানুষ গেছে সমাবেশ করার জন্য। সিলেটের সমাবেশে কুমিল্লা থেকে গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ থেকেও গেছে। ঢাকাতেও কি হবে আমরা জানি এবং বুঝি। তবে তারা যেন সমাবেশ করতে পারে সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে তাদেরকে সহায়তা করে এসেছে। সে জন্যই তারা নির্বিঘ্নে সমাবেশগুলো করতে পেরেছে।

আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হতাহত করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে কিন্তু একটি পটকাও ফোটে নাই আজ পর্যন্ত। সরকার নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিধায় তাদের এভাবে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করা সম্ভবপর হয়েছে।

‘বিএনপি কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, উনারা নাকি বিশাল সমাবেশ করবেন- কেউ বলছে ১০ লাখ, আবার কালকে টেলিভিশনে দেখলাম ২৫ লাখ। কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে ১ কিলোমিটার রাস্তা যদি বন্ধ করা যায় তাহলে ৫০ হাজার মানুষ ধরে। নয়াপল্টনে করার উদ্দেশ্যের মধ্যে বোঝা যায় যে সমাবেশ আগে থেকেই ফ্লপ।

কেন একটি প্রধান রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে হবে- প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা কি কোনো প্রধান রাস্তা বন্ধ করে কোনো সমাবেশ করি! তারা অন্যান্য জায়গায় যে সমাবেশগুলো করেছে সেগুলো তো মাঠেই হয়েছে। তারা যেভাবে সমাবেশ করবে বলছে সে রকম মাঠ তো ঢাকা শহরে নেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও তা নয়। আসলে পূর্বাচল ছাড়া আমি কোনো জায়গাই দেখি না। কারণ ১০-২০ লাখ লোকের জন্য পূর্বাচল ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই।

তিনি বলেন, তারা কেন নয়াপল্টনের সামনে করতে চায়, সেটি সহজেই অনুমেয়। হেফাজতে ইসলাম যে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল, তারা সে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির জন্য গাড়িঘোড়া ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস এবং মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ সেটি হতে দেবে না।

১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতাকর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত জনগণের অনেক গভীরে প্রোথিত, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য সবসময় সতর্ক আছি। বিএনপি সারা দেশে সমাবেশের নামে যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে তার সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক অপতৎপরতা একসূত্রে গাঁথা। টার্গেটেড কিলিং-সন্ত্রাসসহ তাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪-১৫ সালে যখন তারা মানুষ শুধু নয়, পশুপাখি-গরু-মুরগির ওপরও হামলা পরিচালনা করেছিল। রাস্তার গাছপালা উপড়ে ফেলেছিল, তখন তাদের মোকাবিলা করেছি। সুতরাং তাদেরকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় আমরা জানি। তবে দেশের মানুষ সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেবে না, আমরা করতে দিতে পারি না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যা কিছু করবে সেটি দেশে শান্তি, স্থিতি, শৃঙ্খলা রাখার স্বার্থে করবে।

১০ ডিসেম্বর পরিবহণ ধর্মঘট থাকবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এগুলো বেসরকারি সংগঠন, এখানে সব দলের নেতারা আছে। সব দল মিলেই বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোতেও সব দল আছে। এটি তাদের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো জানাশোনা নেই, আমাদের কোনো হাতও নেই।

একই রকম সংবাদ সমূহ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুললো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আর পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশজুড়ে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছেবিস্তারিত পড়ুন

হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরো ৩ দিন

তাপপ্রবাহের সতর্কতার (হিট অ্যালার্ট) মেয়াদ আরো তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। রবিবার সকালেবিস্তারিত পড়ুন

‘বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান লজ্জা পায় আর বিএনপি অন্ধকার দেখে’

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায়বিস্তারিত পড়ুন

  • তীব্র দাবদাহ অব্যাহত, রেকর্ড ভাঙল ৭৬ বছরের
  • যে দুই বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
  • কী করছেন হিট অফিসার
  • রাজধানীতে বসবে ২০ পশুর হাট, কোন হাটের ইজারা কত?
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও
  • ৪২.২ ডিগ্রি তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, গলছে পিচ
  • আরও কমলো সোনার দাম
  • র‍্যাবের মুখপাত্র হলেন আরাফাত ইসলাম
  • কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
  • বান্দরবানের ৩ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত: ইসি
  • কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
  • বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে আমেরিকা