নড়াইলে ব্যয় বাড়ছে গম চাষে
নড়াইলের চাষিরা বলছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় গম চাষে খরচ বেশি। এক সময় মাঠের পর মাঠজুরে গমের আবাদ হয়েছে নড়াইলে। তবে এখন আর সে চিত্র চোখে পড়ে না। সর্বনাশা ব্লাস্ট রোগের আবির্ভাব, বাজারদর কম, নাজুক সেচ ব্যবস্থাসহ নানা প্রতিকূলতায় এ জেলায় কমে যায় গম চাষ।
নড়াইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, এক সময় নড়াইল জেলায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। মাঝে ব্লাস্ট রোগের কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তখন গম চাষ কমে গেলেও এখন প্রতিবছরই বাড়ছে।
গত ২০২০ সালে জেলায় গমের আবাদ হয় ১৭৬৬ হেক্টর জমিতে। যা ২০২১ সালে বেড়ে ১৮৮৫ হেক্টরে পৌছায়। পরের বছর তা বেড়ে দাড়ায় ১৯৬০ হেক্টরে। আর এ বছর জেলায় গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০৮৫ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গমের আবাদ হয়েছে ২১২০ হেক্টর জমিতে।
নড়াইলের গম চাষিরা বলছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় গম চাষে খরচ বেশি হয়। সেই অনুযায়ী বাজারে দাম পাওয়া যায় না। রোগ বালাই যাতে কম হয় সেজন্য গমের যত্ন নিতে হয় বেশি। তাছাড়াও সেচ ব্যবস্থা ভালো নয়। এসব কারণেই মূলত গমের চাষ কমে গেছে। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গম চাষে বাম্পার ফলন হবে। বাজারদরও এখন ভালো। দাম কমে না গেলে কৃষক লাভবান হবে।
তবে গত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে গমের চাষ বাড়তে শুরু করেছে। জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।
নড়াইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায় বলেন, গমে সেচের পরিমাণ কম লাগে। উচ্চ ফলনশীল বারি গম-৩২ ও ৩৩ এবং ডব্লিউএমআরআই-২ জাতের ব্যবহারে গমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। গমের বাজার দামও আকাশচুম্বী। তাই মাঝে গমের আবাদ কমে গেলেও এখন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)