বাদী এখন আসামি, কেশবপুরে চা বিক্রেতা মনিরুজ্জামানের হত্যাকারী তারই স্ত্রী!
যশোরের কেশবপুরে চা বিক্রেতা মনিরুজ্জামান (জিল্লু) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করছে তার স্ত্রী সখিনা বেগম। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে তার স্ত্রী ওই স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরকিয়ার জের ধরে তার কথিত প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এমনটাই জানা গেছে পুলিশ সূত্রে।
মনিরুজ্জামান জিল্লু হত্যা কান্ডের পর তার স্ত্রী সখিনা বেগম নিজেই বাাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১২/ তারিখ- ২৩/০৩/২৩ ইং।
হত্যাকান্ডের পর কেশবপুর থানা পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ মনিরুজ্জামানর স্ত্রী সখিনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তার স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরে ও তার প্রেমিকগংরা ওই হত্যান্ডটি ঘটিয়েছে। গত ২৬ মার্চ যশোর ডিবি পুলিশ রাতে সখিনাকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে যশোর নিয়ে যায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩০ মার্চ রাতে তাকে কেশবপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ্দ করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সখিনা বেগম তার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে বলে পুলিশ জানায়।
গত ২১ মার্চ কেশবপুর উপজেলার আড়ুয়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ সরদারের ছেলে জিল্লুর রহমান (২৩)-কে হত্যা করে, তার লাশ আড়ুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য জাহানারা বেগমের বাড়ির পাশে একটি ডোবার মধ্যে কাঁদায় পুতে রাখে। গত ২২ মার্চ বিকেলে এলাকাবাসী তার লাশ দেখেেত পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পৌঁছে ডোবা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর সখিনা বেগম নিজেকে এই হত্যাকান্ড থেকে আড়াল করতে নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেশবপুর থানার এস আই গোরাচাঁদ বলেন, মনিরুজ্জামান (জিল্লু) হত্যা কান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী তার স্ত্রী সখিনা বগম। তাকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে সে তার স্বামীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করছে। এ মামলার বাদী এখন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)