ভারতের পেট্রাপোলে বাংলাদেশ ফেরত ট্রাকে ৪ কোটি টাকার সোনা, আটক-১
বাংলাদেশ থেকে ভারতে একটি খালি ট্রাক ফেরত আসার সময় পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ৪৫টি সোনার বারসহ একজনকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। জব্দ করা সোনার ওজন প্রায় ৫ কেজি ২০০ গ্রাম।
জানা গেছে, বিএসএফের কাছে গোপন তথ্য ছিল, পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সোনা পাচার হতে চলেছে। সেই মোতাবেক যানবাহন পরীক্ষার সময় আইসিপি বেনাপোল থেকে একটি সন্দেহজনক ট্রাক আটকান বিএসএফ জওয়ানরা। তল্লাশির সময় ট্রাকের হোসপাইপের কাছে টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট নজরে আসে তাদের। সেটি খুলতেই বেরিয়ে আসে ২১টি সোনার বার।
সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকটি জব্দ এবং চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় বিএসএফ। ধৃত ট্রাকচালকের নাম সম্রাট বিশ্বাস।
বিএসএফের জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট স্বীকার করেন, ট্রাকের ইঞ্জিনে আরও ২৪টি সোনার বার লুকানো রয়েছে।
এ তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফের কোম্পানি কামান্ডার মেকানিক ডেকে ট্রাকের ইঞ্জিন খুলে সোনার বারগুলো উদ্ধার করেন।
ট্রাক থেকে উদ্ধার মোট ৪৫টি সোনার বারের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ১২ লাখ রুপি (প্রায় চার কোটি টাকা)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট বিশ্বাস জানান, তিনি ট্রাকচালক হিসেবে কাজ করেন এবং নিয়মিত রপ্তানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ যান। গত ২১ আগস্ট ট্রাকে স্পঞ্জ আয়রন বোঝাই করে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। ২৫ আগস্ট ভারতে ফেরার সময় বেনাপোলে সুমন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং হাতে ৪৫টি সোনার বার দেন।
সম্রাট আরও জানান, সুমন মণ্ডলের কথামতো ভারতে এসে সোনার বারগুলো গোপালনগর গ্ৰামের সালাম মণ্ডলের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, সালাম মণ্ডলের বাড়ি গোপালনগর। এছাড়া আরও তিনজন সোনা চোরাকারবারির খোঁজ পেয়েছে বিএসএফ। তারা হলেন সামাদ মণ্ডল, কুতুবউদ্দিন কারিকর এবং আজগর শেখ। এরা সবাই পেট্রাপোলের বাসিন্দা। এই চক্রের প্রধান আজগর শেখ।
সোনাসহ আটক সম্রাট বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে কলকাতার কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)