প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।
ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুলের মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে. জৈন নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূরেএলাহি মিনা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ব্রাউনের ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে তার স্বীকৃতির জন্য বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত প্রশংসাপত্রে বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘ কর্তৃক ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’-এর সাম্প্রতিক স্বীকৃতির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।’
‘কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটি সফল মডেল: প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততা উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিধির জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।’
গ্রামীণ জনপদের মানুষের কাছে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমায় আসার পর শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেন।
২০০১ সাল পর্যন্ত মেয়াদে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করেন তিনি। সে সময় ১০ হাজার ৭২৩টি ক্লিনিক স্থাপন এবং প্রায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করা হয়।
ওই ওই সময়ে চিকিৎসাসেবা দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দেশের দরিদ্র মানুষ আবারও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হতে শুরু করে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তার আহবান প্রধানমন্ত্রীরউন্নয়নশীল দেশগুলোর কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তার আহবান প্রধানমন্ত্রীর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুনরায় কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম চালু করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ৫ বছর মেয়াদি প্রকল্পে ১৩ হাজার ৫০০ টি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার-সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৯০টি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)