কলারোয়ায় বেত্রবতী বিকল্প সেতু সংযোগে কাদামাখা পথ চলতে মানুষের নাভিশ্বাস
শেখ জিল্লু, কলারোয়া: সাতক্ষীরার কলারোয়ার বেত্রবতী নদীর প্রধান সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে পুরানো সেতু। মানুষ ও যানবাহন পারপারের জন্য অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে বিকল্প সেতু। বিকল্প এই সেতুটি সংযোগ সড়কের চেয়ে অতি নিচুতে অবস্থান করায় উভয় পারে যেতে ক্রমউচ্চতায় উঠতে হচ্ছে। চলতি বর্ষায় বিকল্প সেতুর উভয় অংশের সাথে যুক্ত বিকল্প সড়কটির করুণ দশা। ভয়াবহ কাদামাখা এই এই বিকল্প সড়কপথে পথ চলতে মানুষের ভীষণ দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পুরানোকালের সেই কর্দমাক্ত রাস্তার স্মৃতি যেন ফিরে এসেছে বেত্রবতীর বিকল্প সেতুর উভয় পারে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিন যাতায়াত করা মানুষ অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করছেন।
পথচারী, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ সকল যানবাহন ঝুঁকির মধ্য দিয়ে এই পথে চলাচল করছে। ভ্যান, ইজিবাইক বা থ্রিহুইলার বাহনের যাত্রী নামিয়ে দিয়ে এই বিকল্প সেতু ও বিকল্প সড়ক অতিক্রম করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা থেমে থেমে হওয়া হওয়া বর্ষায় বিকল্প সড়কের কর্দমাক্ততা যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
নদীর পুর্ব পাশের গ্রাম মির্জাপুর, আলাইপুর, রায়টা, শ্রীপতিপুর, মুরারীকাটি গ্রামের কয়েকজন পথচারীরা রোববার এ প্রতিবেদককে জানান, তাদের প্রতিদিনই নানা প্রয়োজনে কলারোয়ায় আসতে হয়। এই কাদামাখা পথ পাড়ি দিতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া নদীর পূর্ব পাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেক শিক্ষার্থী কলারোয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে। তারাও অনুরূপ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
ভুক্তভোগী সকলেই চাইছেন, শীঘ্র এ দুর্ভোগের অবসানে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক। কেননা, নির্মাণাধীন সেতুর নির্মাণকাজ চলবে অনেকদিন ধরে। তাই বিকল্প সড়ক আধাপাকা করে হলেও এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে, যা সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তা না হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভীষণভাবে ব্যাহত হবে।
কলারোয়ার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে বেত্রবতীর পূর্ব পাশে ৬টি ও পশ্চিম পাশে ৬টি ইউনিয়ন অবস্থিত। এছাড়া নদীর পূর্ব পাশে রয়েছে কলারোয়া পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড। এসকল ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ডের মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম হলো এই বেত্রবতী সেতু।
এ বিষয়ে কলারোয়া পৌর মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল জানান, তাঁর কর্মস্থলে যেতে এই বিকল্প সেতু তাকে ব্যবহার করতে হয়। কাদামাখা এই রাস্তা দিয়েই তাঁর নিত্য চলাচল। এই দুর্ভোগ অবসানে অবশ্যই সেতু নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন হওয়ায় পৌরকর্তৃপক্ষের এখানে সংস্কার কাজ করার সুযোগ নেই।
পৌর মেয়র বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে এই বিকল্প সড়ক সংস্কারের বিষয়ে তিনি উদ্যোগ নিচ্ছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)