ভোমরা স্থলবন্দরে ভারত থেকে জিরা আমদানি কমেছে ৭০ ভাগ; প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে
আবু সাঈদ সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে মসলা পণ্য জিরা আমদানি কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জুলাই-সেপ্টেম্বর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্যটির আমদানি কমেছে ৭০ শতাংশ। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে আমদানি নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ৩৫০ টন, যার মোট আমদানি মূল্য ১২ কোটি ৮ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আমদানি হয়েছিল ৯১৯ টন, যার মূল্য ছিল ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর আমদানি কমেছে ৫৬৯ টন। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দেশের বাজারে জিরার দাম বেড়ে গেছে। উচ্চমূল্যের কারণে ক্রেতারা ব্যবহার কমিয়েছেন মসলা পণ্যটির।
ভোমরা বন্দরের মসলা পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতে জিরার সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। আর দাম বাড়ায় ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েছেন ভোক্তারা। বাজারে উচ্চমূল্য ও চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় আমরাও জিরা আমদানি কমিয়ে দিয়েছি। আবু হাসান দাবি করেন, আমদানির পরিমাণ ৬৫-৭০ শতাংশ কমে গেছে।
গত অর্থবছরের এ সময় সপ্তাহে ১০-১২ ট্রাক জিরা আমদানি হয়েছে। আর এখন সপ্তাহে মাত্র দুই-তিন ট্রাক আসছে। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজিব রাজু জিরা আমদানি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দৈনিক বাংলা পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিবেদক আবু সাঈদকে তিনি বলেন, ‘জিরা আমদানিতে সরকারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাজস্ব আয় হয়। তবে গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জিরা আমদানি থেকে সরকারের কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব কমে গেছে।’
এদিকে সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারে মসলা গতকাল আমদানীকৃত জিরা পাইকারি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। দোকানদার মনিরুল ইসলাম জানান, বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে জিরার দাম বাড়তির দিকে। তাছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)