এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট হবে শুনলে শয়তানও হাসে: চরমোনাই মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে আর সময় আছে প্রায় দুই মাস। ফলে দিন যতই কমে আসছে, রাজনীতির মাঠ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নির্বাচন নিয়ে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন কী ভাবছে?
এ নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপনার দলের পরিকল্পনা কি?
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বিগত দিনে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করেছে। নির্বাচনের যদি পরিবেশ পায়, তাহলে ভবিষ্যতেও নির্বাচন করবে। বিশেষ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, মানুষ ভোট দিতে পারে এমন পরিবেশ পেলে নির্বাচনে অংশ নেবে। মোদ্দা কথা, এসব শর্ত পূরণ না হলে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন কিনা?
সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, শেখ হাসিনা শুধু মুখে বলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবে। কিন্তু এ সরকারের অধীনে যে নির্বাচনগুলো কেমন হয়েছে, সেই ব্যাপারে সবাই আমরা জানি। কারণ আমরা এ দেশের মানুষ, আমরা ভোটার। শেখ হাসিনার অধীনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার পরে স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে একই দশা। দিনের ভোট রাতে। তাহলে জনগণ কীভাবে বিশ্বাস করবে যে, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বয়ং শেখ হাসিনাও জানে তার অধীনে ভোট নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট হবে এটা শুনলে শয়তানও হাসে। এজন্য এতবড় কাজ করছে তারপরও আস্থা রাখে।
পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই যে, এ জাতি যতক্ষণ না স্পষ্ট হবে যে, সুষ্ঠু ভোট হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলন কোনো নির্বাচনে যাবে না।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)