শার্শায় নারীর রক্তমাখা লা*শ উদ্ধার
শার্শা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় নিজ বাড়ি থেকে রহস্যজনক ভাবে সোনাভান খাতুন (৪২) নামে এক নারীর রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯টার সময় উপজেলার আমলাই মাঠপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির উঠান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোনাভান খাতুন আমলাই গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের মেয়ে।
এ ঘটনায় সোনাভান খাতুনের সাবেক স্বামী আব্দুর রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম আকিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, ভিকটিম সোনাভান খাতুন দীর্ঘদিন ধরে স্বামী পরিত্যক্ত অবস্থায় আমলাই গ্রামের পাঠপাড়ায় নিজ বাড়িতে একটি মানসিক ভারসাম্যহীন (বোবা) ছেলেকে নিয়ে বসবস করেতেন। ঘটনার দিন রাতে সে বাড়ির উঠানে বসে মাছ কুটছিল। এমন সময় কে বা কারা হঠ্যাৎ পিছন থেকে লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে সে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই তার (বোবা) ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মায়ের রক্তমাখা মরদেহ দেখে চিৎকার-পেঁচামেচি করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে তার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
একটি সূত্র বলছে, ভিকটিম সোনাভান খাতুন এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পায়। ওই টাকা গুলো তার সুদের ব্যবসায় দেওয়া আছে।
এছাড়া এলাকার এক ব্যাক্তির সাথে তার পরকিয়া সম্পর্ক চলছিল। এসব কারণেও কেউ হয়তো তাকে হত্যা করতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
এ বিষয়ের নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
তিনি আরো জানান, এই হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)