কলারোয়ায় মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষণের নামে যতো অনিয়ম!
কলারোয়ায় সাসটেইনবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় ক্লাস্টার চাষীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে উপজেলায় চিংড়ি মাছ চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কলারোয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
৩ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে উপজেলার একটি ক্লাস্টারের ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করার কথা। প্রতিজন ৩ দিনের প্রশিক্ষণে ২২৫০ টাকা করে ভাতা, সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবার দেওয়ার কথা থাকলেও খাবার দেওয়া হয়েছে নিম্মমানের। প্রকৃত মৎস্য চাষীদের উন্নত চিংড়ি চাষে এই প্রশিক্ষণ প্রকল্প নেওয়া হলেও প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সত্যিকারের মৎস্য চাষী খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁদের প্রায় সবাই ভিন্ন পেশা অথবা ছাত্র এবং তারা অন্য উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। প্রশিক্ষণে মহিলা চাষী বাধ্যতা মূলক থাকায় অনেকে তার স্ত্রীকে সাথেই নিয়ে এসেছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘরচালা গ্রামের আলম ও সালমা বেগম নামের দম্পত্তি এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। তাঁরা হয় শখের বশে, নয়তো ৩ দিনের প্রশিক্ষণে ভাতার টাকা পাওয়ার আশায় প্রশিক্ষণে নাম লিখিয়েছেন। অন্য উপজেলার জনপ্রতিদেরকেও প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দেখা গেছে। আবার দুই একজন কোনো দিন প্রশিক্ষণে উপস্থিত না হয়েও প্রশিক্ষণ সম্পর্ণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সকল অনিয়মের বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ কুমার দাশ বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে জানান, অন্য উপজেলার অপেশাদার ব্যক্তি প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সুযোগ নাই। এমন ঘটনা ঘটলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)