আশাশুনিতে চলাচলের রাস্তা ও টেকসই নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন
আশাশুনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট টু বলাবাড়িয়া গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এবং খোলপেটুয়া নদীর টেকসই নদীরক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১ টায় সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট -বলাবাড়িয়া অস্থায়ী সড়কে এ দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় গ্রামবাসীর আয়োজনে আয়োজিত মানববন্ধনে দক্ষিণ বলাবাড়িয়া, উত্তর বলাবাড়িয়া, হাসখালি গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
তারা বলেন, আমরা আশাশুনি সদর ইউনিয়নে বসবাস করি অথচ দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে আমাদের গ্রামে প্রবেশের কোন রাস্তা নেই। গ্রামের কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকবে এরকম একটি রাস্তা নেই আমাদের। চলাচলের রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূর থেকে পায়ে হেঁটে আমাদের খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয়। গ্রামে প্রবেশের জন্য যে রাস্তাটি ছিল (বেড়িবাঁধ) সেটি প্রায় ৩০ বছর আগে নদীগর্ভে মিশে গেছে। বর্তমানে স্থানীয় লোকের মালিকানাধীন জমির উপর নির্মিত রিংবাঁধ দিয়ে আমাদের এই এলাকার লোক যাতায়াত করে থাকে।
কিন্তু জমি অধিকরণ সহ নানা জটিলতার কারণে সে রাস্তাটাও প্রশস্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তারা জানান।
বলাবাড়িয়া গ্রামের শিক্ষার্থী পূরবী রানী মন্ডল বলেন, বর্ষার দিনে কাদামাটি মেখে অতিকষ্টে আমাদেরকে প্রায় ৩ কিঃমিঃ দুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
গৃহবধূ মিতা মন্ডল বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা (রাস্তা) না থাকায় সুপীয় খাবার পানি, পণ্য পরিবহন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে জরুরী অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত আমরা।
বলাবাড়িয়া গ্রামের সুভাষ চন্দ্র মন্ডল বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব পানি উন্নয়ন বোর্ডের এনডিআর এর মাধ্যমে বলাবাড়িয়া গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে স্থানীয় জমি মালিকদের সাথে কথা বলে রেকর্ডকৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এর ফলে বলাবাড়িয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।
আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এনডিআর ও জরুরী সেবা খাত থেকে রিং বেড়িবাঁধের স্থলে মাটির বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানি থেকে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন সহ উপজেলাকে প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। একই সাথে বলাবাড়িয়া গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করা সম্ভব হবে। তবে আগামীতে জমি অধিগ্রহণ পূর্বক স্থায়ী ভাবে টেকসই নদীরক্ষা বাঁধের দাবি জানান তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)