সস্ত্রীক ওমরাহ করতে গেলেন মির্জা ফখরুল
পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে নিয়ে সৌদি আরব গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহষ্পতিবার বিকাল ৩টা ১৫মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে দেশে ফিরবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিবের সঙ্গে আছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৬ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে ঠাকুরগাঁও জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মির্জা রুহুল আমিন ও মাতা মির্জা ফাতেমা আমিন।
ছাত্র জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (অধুনা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) একজন সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এসএম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
পরবর্তীতে কলেজে অধ্যাপনা শেষে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি শুরু করেন। ঠাকুরগাঁও থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বাস ভবন ফিরোজায় দেখা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে দোয়া নেন।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মির্জা ফখরুল ইসলামের শরীর ভালো যাচ্ছে না। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ৭৭ বছর বয়সী মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্র“য়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর ৪ মার্চ চিকিৎসার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে যান। ১৯ দিন পর ২৩ মার্চ তাারা দেশে ফেরেন।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে কারাবন্দী অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। সেবার কারামুক্তির পর তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর তাকে নিয়মিত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে হয়। এর মধ্যে তার আরও কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)