যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভ্রমণ ট্রাক্স জাল করার অপরাধে যুবক আটক


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: আবারও বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভ্রমন ট্যাক্স জাল করার দায়ে প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী শামিম হোসেন (৩৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মাচা) বেলা ১ টার সময় প্যাসেঞ্জার টামিনাল হতে ভারতীয় এক পাসপোর্ট যাত্রীর ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতির দায়ে তাকে কাস্টমস ও এপিবিএন পুলিশ যৌথ ভাবে আটক করে বেনাপোল পোট থানায় হস্তান্তর করে।
শামিম বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের বিশিষ্ট স্বর্ণ চোরাচালানি মোমিন চৌধুরীর ছেলে। এর আগেও সে ভ্রমণ কর জালিয়াতির কারনে দুই বার গ্রেফতার হয়। আইনের ফাঁকফোকরে সে জামিন পেয়ে আবারও ফিরে একই কাজে জড়িত হয়। তার পিতা মোমিন চৌধুরী স্বর্ণ পাচার করে একাধিকবার জেল খেটেছে। বর্তমানে সে ৫২ পিস ও ২০ পিছ স্বর্ণের পৃথক মামলায় জেল খেটে জামিনে আছে।
ভারতীয় নাগরিক বেলাল আহমেদ (পাসপোর্ট নং-ঞ ৪৩৩৭০১২) জানায়, সে বাংলাদেশে ঢাকার আশিয়ান নামে একটি কলেজে মেডিকেলে পড়াশুনা করে। ঢাকা থেকে বেনাপোলে এসে সে বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে সাদিপুর রোডের একটি প্রতিষ্ঠানে সরকারী ভ্রমন কর অনলাইনে জমা দেয়। এরপর সে নিজ দেশে যাওয়ার সময় কাস্টমস চেকপয়েন্টে তার ট্রাভেল ট্র্যাক্স জাল বলে প্রমানিত হয়।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত এপিবিএন পুলিশের পরিদর্শক সন্তু বিশ্বাস বলেন, ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল কাস্টমস এর তল্লাশি পয়েন্টে ওই যাত্রীর ভ্রমণ কর চেক করার সময় জাল প্রমানিত হয়। পরে কোথায় এই ভ্রমণ কর জমা দেওয়া হয়েছে যাত্রীকে সাথে নিয়ে সনাক্ত করা হয়। যাত্রী বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান এবং ভ্রমণ কর জালিয়াতির নায়ক শামিমকে সনাক্ত করে। পরে শামিম বিষয়টি স্বীকার করে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস সুপার আব্দুল গনি বলেন, আমরা জাল ট্রাভেল ট্যাক্স সনাক্ত করার জন্য সচেতন। আমাদের দুই জন সহকর্মী সব সময় ভ্রমণ কর চেক করে থাকে।
বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি রাসেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শামিম হোসেন নামে একজন যুবককে কাস্টমস এবং এপিবিএন পুলিশ জাল ট্যাক্স কাটার অপরাধে মামলা দিয়েছে। তবে এই শামিমের নামে এর আগেও বেনাপোল থানায় ভ্রমণ কর ফাঁকির অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
