ডা. জুবাইদা ও জাইমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে : বিএনপি


জিয়া পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য একটি দুষ্টচক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (০৫ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান ও তাদের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে ফেক ও মিথ্যা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে অসত্য, বানোয়াট মন্তব্য পোস্ট করছে। এছাড়াও এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহার করে অসাধু প্রতারকচক্র ডা. জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের ছবি ও ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। এ কাজ দুষ্টচক্রের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এসব অপপ্রচারের লক্ষ্য হচ্ছে জনমনে জিয়া পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। যারা এ ধরনের ডিজিটাল জালিয়াতির কাজে যুক্ত রয়েছে তারা সুদূরপ্রসারী কোনো চক্রান্তের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, বিএনপির ভাবমূর্তিকে নানাভাবে কালিমালিপ্ত করতে অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন লক্ষ্যপূরণে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করে নানামুখী অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। সৌজন্যবোধসম্পন্ন ও বিনয়ী ডা. জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে ফেসবুকসহ এআইয়ের মাধ্যমে এডিট করে ছবি-ভিডিও তৈরি ও প্রচার করা শুধু গর্হিত কাজই নয়, এটি একটি গুরুতর অপরাধ। আমরা এমন গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এসব অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মিথ্যার কোন স্থান নেই, তাই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে মিথ্যার সংস্কৃতি প্রসারিত করার চেষ্টা করা হলেও তা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, আমি দৃঢ়কণ্ঠে আপনাদের মাধ্যমে ঘোষণা করছি, ডা. জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে কখনোই কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল না এবং এখনো নেই। সুতরাং তাদের নামে ফেসবুকে পোস্ট করা কোনো মন্তব্যে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
