বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ঢাবি ভিসিকে হাসিনা

ইংল্যান্ডে ছাত্ররাজনীতির জন্য মাঠে নামল, কতগুলোকে মেরে ফেলায় দিল না?

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব এইগুলাকে বাইর করে দিতে হবে…আমি বলে দিচ্ছি আজকে সহ্য করার পরে অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) করবে, ধরে নেবে এবং যা অ্যাকশন নেয়ার নেবে…কারণ ইংল্যান্ডে এ রকম ছাত্ররাজনীতির জন্য মাঠে নামল, কতগুলি মেরে ফেলায় দিল না?’

আন্দোলনকারীদের ফাঁসিও দিতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তার এই বক্তব্যের স্বপক্ষে শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের টেলিফোন কথোপকথন (অডিও রেকর্ডের লিখিত রূপ) তুলে ধরেন তাজুল।

সোমবার (১১ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালে চানখারপুল গণহত্যা মামলায় সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনা ও ঢাবির সাবেক ভিসির ফোনালাপ তুলে ধরেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ ফোনালাপ জমা দিয়েছে প্রসিকিউশন।

শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে মাকসুদ কামালের কথা হয়েছিল গত বছরের ১৪ জুলাই। ওই কথোপকথনের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সেদিন মাকসুদ কামাল বলেছেন, ‘প্রত্যেক হল থেকে তো ছেলেমেয়েরা তালা ভেঙে বের হয়ে গেছে। এখন তারা রাজু ভাস্কর্যে, চার–পাঁচ হাজার ছেলেমেয়ে জমা হইছে। মল চত্বরে জমা হয়েছে এবং যেকোনো মুহূর্তে আমার বাসাও অ্যাটাক (আক্রমণ) করতে পারে।’

এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমার বাসা প্রটেকশনের (সুরক্ষার) কথা বলে দিছি।’
তখন মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জি জি।’
এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে একবার করছে…।’

পরে মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ওই রকম একটা প্রস্তুতি…লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হইছে।’

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হলে হবে না, আমি পুলিশ এবং বিডিআর হয়ে বিজিবি আর…বলছি খুব অ্যালার্ট (সতর্ক) থাকতে এবং তারা রাজাকার হইতে চাইছে তো, তাদের সবাই রাজাকার। কী আশ্চর্য কোন দেশে বসবাস করি।’

জবাবে মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জি জি…বলতেছে আমরা সবাই রাজাকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তো রাজাকারের তো ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও তাই করব। একটাও ছাড়ব না, আমি বলে দিছি। এই এত দিন ধরে আমরা কিন্তু বলিনি, ধৈর্য ধরছি, তারা আবার বাড়ছে।’

এরপর মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বেশি বেড়ে গেছে এবং অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, অতিরিক্ত…। আপা একটু ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাটা আরেকটু বাড়ানো…। আর আমার বাসার ওইখানেও…।’

তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্যাম্পাসের…ব্যবস্থা করছি, সমস্ত ক্যাম্পাসে…বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশ—সব রকম ব্যবস্থা হইছে। তোমার বাসার ভেতরে লোক রাখতে বলছি। ভেতরে কিছু রাখা আছে…এত বাড়াবাড়ি ভালো না।’

শেখ হাসিনা ও মাকসুদ কামালের কথোপকথনের পুরোটাই সূচনা বক্তব্যে পাঠ করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সেদিন মাকসুদ কামাল আরও বলেছিলেন, ‘বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের ছেলেদেরকে মেরেছে। আরও দু–একটা হলে একই কাজ করেছে। ছাত্রলীগের ছেলেপেলে সাদ্দাম (এখন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি), ইনান (নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক), শয়ন (নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি) ওরা আমার বাসায় ছিল সন্ধ্যা থেকে। আমি খবর পাচ্ছিলাম, ওদেরকে আমি ডেকে নিয়ে আসছি, ওরাও আসছে। ওদের সঙ্গে বসে ওদের হলে হলে যেন ছাত্রলীগকে সংঘবদ্ধ রাখে এবং ঢাকা উত্তর, দক্ষিণকে যেন খবর দিই। এগুলা করতে করতেই হাজার হাজার ছেলেমেয়ে একত্র হয়ে গেছে।’

এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন দেশে বাস করি আমরা। এদেরকে বাড়তে বাড়তে তো…রাজাকারদের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই, সবগুলাকে ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না।’

তখন মাকসুদ কামাল বলেন, ‘হ্যাঁ, এবার এই ঝামেলাটা যাক, এরপরে আমিও নিজে ধরে ধরে যারা এই অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, মেইন যারা আছে, এদের বহিষ্কার করব ইউনিভার্সিটি থেকে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব এইগুলাকে বাইর করে দিতে হবে…আমি বলে দিচ্ছি আজকে সহ্য করার পরে অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) করবে, ধরে নেবে এবং যা অ্যাকশন নেওয়ার নেবে…কারণ ইংল্যান্ডে এ রকম ছাত্ররাজনীতির জন্য মাঠে নামল, কতগুলি মেরে ফেলায় দিল না?’

জবাবে মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জি জি জি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই অ্যাকশন না নেওয়া ছাড়া উপায় নাই। আমরা এত বেশি সহনশীলতা দেখাই আজ এত দূর পর্যন্ত আসছে।’

এরপর মাকসুদ কামাল বলেন, ‘এটা তো…আমরাও তো সহনশীলতা…আমি ছাত্রলীগকে বলছি যে তোমরা কোনো ধরনের ইয়ে করতে যাইও না। যেহেতু আদালতের বিষয়, আদালত নিষ্পত্তি করবে।’

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘না, এ আদালত হবে না, আবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিছে।’

তখন মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আবার রাষ্ট্রপতিকে কেউ এই রকম বলে যে ২৪ ঘণ্টার রাষ্ট্রপতিকে কেউ আলটিমেটাম দেয় একটা দেশে।’

এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছে…বেয়াদবির একটা সীমা থাকে…!’

মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আপা, আমি আপনাকে যদি অন্য কোনো খারাপের দিকে যায়, আমি আবার একটু জানাব। কিন্তু রাতের বেলা জানাব না, হয়তোবা আধা ঘণ্টা এক ঘণ্টার মধ্যে হলে জানাব।’

তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো অসুবিধা নাই…আমি আমি সব সময়ই ফ্রি।’

মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জি জি জি, স্লামুআলাইকুম।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

প্রশাসনের বাইরে বঞ্চিত ৭৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ

পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি, সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত নয়: রিজভী

দেশকে আবারও ষড়যন্ত্রের অন্ধগলিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠবিস্তারিত পড়ুন

গুলিবিদ্ধ ১৬৭ জনের অনেকেরই মাথার খুলি ছিল না

২০২৪ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে দিন যত গড়াতে থাকে মাথা-বুকে গুলিবিদ্ধবিস্তারিত পড়ুন

  • ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ
  • সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা
  • সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিলো ছাত্রদল
  • ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা ছাত্রদলের
  • ডাকসু নির্বাচন: কাদের-বাকেরের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের প্যানেল
  • ঢাবির ১৮ হল সংসদে প্রার্থী ঘোষণা ছাত্রদলের
  • জুলাই সনদের যে ৩ দফায় আপত্তি বিএনপির
  • ‘আপত্তিকর’ ভিডিও ভাইরাল: বিএফআইইউ প্রধানকে বাধ্যতামূলক ছুটি
  • হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
  • থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা, নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ
  • সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
  • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রথম নারী সচিব রেহানা পারভীন