বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মশা মারতে নিরাপদ ওষুধ কোনটি, কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় কিউলেক্স মশার সংখ্যা চারগুণ হয়ে গেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মশাবাহিত রোগবালাইয়ের পরিমাণ ও মানুষের ভোগান্তি। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য নানা ধরনের রিপেলেন্ট অর্থাৎ মশা বিতাড়নের জন্য পণ্যের ব্যবহারও বাড়ছে। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের কয়েল, স্প্রে, ক্রিমজাতীয় পণ্য।

বাজারে এখন এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। চাহিদার সাথে সাথে পণ্যের কার্যকারিতা নিয়েও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে দেখা দিয়েছে প্রতিযোগিতা।

বাংলাদেশে মশার ওষুধ বাজারজাত করার আগে প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্লান্ট প্রটেকশন উইং থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। সংস্থাটি বলছে, দেশে এ মূহুর্তে ৪৫০টির বেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের মশার ওষুধ পাওয়া যায়।

প্রায় ৮০টির মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এগুলো তৈরি এবং আমদানি করে বাজারজাত হচ্ছে। কিন্তু এত পণ্যের ভিড়ে কীভাবে বুঝবেন, কোন পণ্যটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার বলেছেন, ‘যদি দেখা যায় মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার হওয়া কোনো কয়েল বা স্প্রে বা ক্রিম বা বিশেষ ব্যাট বা মশারি ব্যবহারে ঘরের মশা মরে যায়, সাথে ঘরের অন্যান্য পতঙ্গ যেমন টিকটিকি বা অন্য ছোট পোকা মারা যায়, তাহলে বুঝতে হবে সেটি মানব শরীরের জন্য চূড়ান্ত ক্ষতিকর। ’

রিপেলেন্টের কাজ হচ্ছে মশা তাড়ানো, কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যায়, অনেক সময় পণ্যের বিজ্ঞাপনে বলা হয় মশা কার্যকরভাবে মেরে ফেলবে। এর মানে হচ্ছে ওই পণ্যে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, আর সেটি মানবশরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ওষুধে যেমন মানবদেহের ক্ষতি হয়, তেমনি মশার ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য প্রাণীও বিপন্ন হয়। ’

যেকোনো কীটনাশকের মধ্যে ব্যবহারভেদে দুই মাত্রার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এর একটি হচ্ছে অ্যাগ্রিকালচারাল গ্রেড, মানে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত মাত্রা। অন্যটি হচ্ছে পাবলিক হেলথ গ্রেড, অর্থাৎ এটি মানব শরীরের সংস্পর্শে আসার জন্য নির্ধারিত মাত্রা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাবলিক হেলথ গ্রেডে ব্যবহারের জন্য রাসায়নিকের মাত্রা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে যাতে কম প্রভাব পড়ে বা সহনশীল মাত্রার মধ্যে থাকে।

কয়েল, স্প্রে বা অন্য যেকোনো ওষুধের উপাদানের মধ্যে ব্যবহৃত কীটনাশকের মধ্যে পার্থক্য থাকে, একেক কোম্পানি কীটনাশকের একেক ধরনের জেনেরিক ব্যবহার করে। ফলে একটির সঙ্গে আরেকটির ফলাফলে পার্থক্য থাকে। দেখা যায়, একেক ধরনের মশার জন্য একেক ধরনের ওষুধ রয়েছে। যেমন পূর্ণবয়স্ক মশা তাড়াতে যে ওষুধ লাগবে, লার্ভা নিধনে সেই একই ওষুধ কাজ করবে না।

বাংলাদেশে সাধারণত মশার কয়েল ও স্প্রেতে পারমেথ্রিন, বায়ো-অ্যালোথ্রিন, টেট্রাথ্রিন, ডেল্ট্রামেথ্রিন, ইমিপোথ্রিননের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া মশার কয়েল বা স্প্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তার মাত্রা সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে। যেমন- মশা তাড়ানোর স্প্রে ঘরে ছিটানোর পর সে ঘরে পরবর্তী ২০ মিনিট মানুষকে থাকতে নিষেধ করা হয়। কারণ, ওই স্প্রেতে ছড়ানো কীটনাশকের ড্রপলেটস মাটিতে নেমে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগবে। ফলে তখন সেখানে মানুষ থাকলে তিনি সরাসরি কীটনাশকের সংস্পর্শে আসবেন, যা তার জন্য ক্ষতিকর।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার বলেছেন, ‘নিরাপদ থাকার জন্য মশা মারার ব্যবহার বিধিও জানতে হবে এবং মানতে হবে। ’

মাত্রা পরিমাপে সরকারের মনিটরিং

বাংলাদেশে মশার ওষুধ বাজারজাত করতে হলে প্রতিটি পণ্যের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্লান্ট প্রটেকশন উইং থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। সংস্থাটির পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাইয়িদ মিয়া বলেছেন, এ জন্য প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় কোনো কোম্পানিকে। এরপর স্যাম্পল টেস্ট করতে হয়, মানে আইইডিসিআরের কাছে ওই পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করতে হয়। তাতে পাস করলে সর্বশেষ সেটি মাঠপর্যায়ে দুইবার ট্রায়াল চালানো হয়। তাতে জনস্বাস্থ্যের ওপর কোনো ক্ষতিকর কিছু না পেলে, সেটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ’

এসব কয়টি ধাপ পার হলে ওই পণ্যটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানই নিয়ম মেনে মশার ওষুধ বানায় না। এর ফলে কয়েল বা স্প্রে বা অন্য কোনো রিপেলেন্ট পণ্যে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক থাকে। সে কারণে কয়েল বা স্প্রের ফলে মানুষের শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি হয়। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন, মশার কয়েল মশার স্প্রের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।

কারণ, মশার কয়েল সারারাত ধরে জ্বলে এবং কয়েল জ্বালিয়ে মানুষ ঘরেই অবস্থান করে। কয়েলের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও ফুসফুসের অসুখ হতে পারে।
এ ছাড়া ক্যান্সার ও কিডনি রোগেরও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে মানুষের চোখ এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

গুণগত মান মনিটরিংয়ের জন্য প্রতি উপজেলায় দুইজন করে কীটনাশক পরিদর্শক রয়েছেন। মাঝেমধ্যেই তারা পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়ম পেলে জরিমানা করেন।

মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতি

বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, মশা তাড়াতে কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার না করে, প্রাকৃতিক উপায় চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। তবে ঢাকায় মশার সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে তাতে এসব কায়দা কতটা খাটবে সে আশঙ্কাও রয়েছে।

অনেক বছর ধরে মশা তাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো:

১. নিমে মশা তাড়ানোর বিশেষ গুণ রয়েছে। প্রাচীনকালে মশা তাড়াতে নিমের তেল ব্যবহার করা হত। ত্বকে নিম তেল লাগিয়ে নিলে মশা ধারে-কাছেও ভিড়বে না বলে প্রচলিত।

২. বলা হয়ে থাকে, মশা কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কর্পূর দিয়ে রাখলে মশা পালিয়ে যায়।

৩. লেবু আর লবঙ্গ একসঙ্গে রেখে দিলে ঘরে মশা থাকে না বলে প্রচলিত আছে। এগুলো জানালায় রাখলে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না।

৪. ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে সেটা জ্বালালে চা পাতার ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা-মাছি পালিয়ে যাবে। কিন্তু এতে শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি হবে না।

একই রকম সংবাদ সমূহ

আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ জন গ্রেফতার

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছেবিস্তারিত পড়ুন

ইসকন নেতা গ্রেপ্তার: যেভাবে ঘটে আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ড

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা সংঘের (ইসকন) নেতাবিস্তারিত পড়ুন

টিএসসিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গায়েবানা জানাজা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে আইনজীবী সাইদুল ইসলাম আলিফের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

  • ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
  • আইনজীবী হত্যায় জড়িত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার, উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ সৃজনসহ ৬২টি সংস্কার প্রস্তাব বিএনপির
  • ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া
  • ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না: তারেক রহমান
  • চিন্ময় ইস্যুতে ভারতকে কড়া বার্তা বাংলাদেশের
  • রাষ্ট্রদূত হলেন সদ্য সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম
  • উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন?
  • আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে কুপিয়ে হ*ত্যা করলো চিন্ময়ের অনুসারীরা
  • সংকট সমাধানে জনসমর্থিত সরকার প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
  • বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক