এক মাসের ব্যবধানে হাসপাতালে করোনা রোগী বেড়েছে দ্বিগুণ
সংজ্ঞা অনুযায়ী এখনই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দেশের সব হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ দ্বিগুণ বাড়ার বিষয়টি তারই প্রমাণ বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিপরীতে অবস্থান নেয়ার কারণেই এ অবস্থা বলে মনে করেন করছেন তারা।
শনাক্তের এক বছরের মাথায় দেশে আবারো নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে বৈশ্বিক মহামারি করোনা। যদিও সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই কারো। পুরাদমে চলছে মিছিল মিটিং, সভা সমাবেশ, নির্বাচন, মেলা কিংবা পরীক্ষা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ একদিনে যেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৮ জনের, সেখানে ঠিক এক মাস পর ১৯ মার্চ মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। একই ভাবে হাসপাতালে সাধারণ ও আইসিইউ শয্যায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।
আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করাতেই করোনা নিয়ে আবারো মহাসংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রিদওয়ানুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই মুহূর্তে এটাকে করোনার সেকেন্ড ওয়েব বলা যায়। যারা এখনো করোনা আক্রান্ত হয় নাই, যারা হয়ে ভালো হয়ে গেছে, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে, যারা নেই সবাই এখন ঝুঁকির মধ্যে। বর্তমানে নীতিনির্ধারকরা করোনাকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। টোটাল লকডাউন না করে যে এলাকাগুলোতে করোনার সংক্রমণ বেশি, সে এলাকাগুলো যদি বন্ধ রাখা যায়, তাহলে সংক্রমণ কিছুটা কমানো যাবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরে রোগনিয়ন্ত্রণ পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে ব্রিটেনের নতুন ধরনের করোনার অস্তিত্ব মিলেছে দেশে ১৬ জনের দেহে। সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে জনসমাগম বন্ধ করতে সরকারকে পরামর্শ দেবেন তারা।
এ ছাড়া জনসমাগম কমাতে ২১ মার্চ থেকে জেলায় জেলায় পুলিশি তৎপরতা বাড়াতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সৌজন্যে: সময় টিভি নিউজ
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)