‘স্ত্রীকে হত্যায় তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন বাবুল’
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করতে আসামিদের তিন লাখ টাকা দিয়েছিল বলে আদালতে দেওয়া দুই সাক্ষীর জবানবন্দি ও পিবিআইয়ের তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ও নতুন মামলায় লেনদেনের কথা উল্লেখ আছে।
বুধবার (১২ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, বাবুল আকতার স্ত্রীকে হত্যা করার তিন দিন পর তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে বলেন, তার লাভের অংশ থেকে তাকে যেন টাকা তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়।
বাবুল এই টাকা সাইফুলের কাছে থেকে নিয়ে বিকাশের মাধ্যমে গাজী আল মামুনকে পাঠান। গাজী আল মামুন ওই টাকা আবার মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মিতু হত্যার মামলার ভিডিও ফুটেজে বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলা, কামরুল শিকদার ওরফে মুসা ছিলেন। কিন্তু ঘটনার পরপর তিনি দাবি করেছিলেন, জঙ্গিরা জড়িত। তার সোর্সকে তিনি চিনলেও বিষয়টি চেপে যান। ভুলেও তিনি সাইফুল হকের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মুসা ও ওয়াসিমসহ আসামিদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেননি।
এদিকে বুধবার (১২ মে) সকালে ঢাকার পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, বাবুলের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় নতুন আরেকটি মামলায় আজ বুধবার (১২ মে) গ্রেপ্তার দেখানো হবে। নতুন এ মামলায় বাদী হয়েছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)