কলারোয়ায় গরু ও ছাগলের খামারে ভাগ্য বদল মনোয়ারার
গরু ও ছাগলের খামার গড়ে সাফল্য পেয়েছেন অভাবী মনোয়ারা খাতুন নামে এক গৃহিনী। তিনি
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসী গ্রামের সিরাজুল খন্দকারের স্ত্রী।
এনজিও সংস্থা উত্তরণ এর শুকতারা নামে একটি সমিতি থেকে ১৫ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে শুরু করেন হাস-মুরগী ও ছাগল পালন। এরপর থেকে মনোয়ারার আর পেছনে ফিরতে হয়নি। স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে গরু রয়েছে ২টি, ছাগল রয়েছে ৩টি ও হাস-মুরগী রয়েছে-১৫টি।
মনোয়ারা খাতুন জানান, ‘তিনি খুব গবির ও অসহায় মানুষ। খুব কষ্টে তার সংসার চলছিলো। স্বামী পরের ক্ষেত খামারে কাজ করে তাদের সংসার চলে। খলসী গ্রামের শুকতারা নামে একটি সমিতিতে ২০ টাকা দিয়ে সদস্য হন। পরবর্তীতে ১৫ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহন করেন। সেই টাকা দিয়ে নিজ বাড়ীতে হাস-মুরগী ও ছাগল পালন শুরু করেন।’
তিনি আরো জানান, ‘পরবর্তীতে ঋণ নিয়ে তিনি গাভী পালন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি একটি পাকা বাড়ী করেছেন। একটি গরু পালনের জন্য পাকা ঘরও করেছেন। বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। এক ছেলে ট্রাক ড্রাইভার, আর মেয়ে পড়াশুনা করছেন। মাঠে এক বিঘা কৃষি জমি বন্দকও নিয়ে ধান চাষ করেছেন। এখন আর তার স্বামী সিরাজুল খন্দকার বাড়ীতে বসে থাকে না, তিনি গরু বেচা কেনারও কাজ করেন।’
মনোয়ারার স্বামী সিরাজুল খন্দকার বলেন, ‘তার পরিবার ভালই আছেন। কয়েক বছর আগেও তাদের খারাপ সময় গেছে।’
এনজিও সংস্থা উত্তরণ এর ম্যানেজার শেখ রিয়াজুল ইসলাম জানান, ‘মনোয়ারার পরিবার খুব ভাল। শুকতারা সমিতি থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে গরু-ছাগল ও হাস-মুরগী পালন শরু করেন। ২০১৫ সালে ক্ষুদ্র ঋণ নিলেও অদ্যবদি এক বারও ঋণ খেলাপি করেননি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)