অস্ট্রেলিয়াকে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবালো বাংলাদেশ
৪-১ ব্যবধানেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ১৪ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন ৬২ রানে অল-আউট হল অজিরা।
এর আগে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাউদাম্পটনে ৭৯ রানে অল-আউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, টি-টোয়েন্টিতে এতদিন সেটিই ছিল তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।
বাংলাদেশের স্পিনের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই খাবি খেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নেমে প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে রেখেছিল টাইগাররা।
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি অবশ্য জিততে পারেনি স্বাগতিকরা। সে ম্যাচে একমাত্র জয়টি পায় অস্ট্রেলিয়া। ১২৩ রান তাড়ায় ১৩.৪ ওভারেই গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা।
৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব, ১২ রানে ৩টি নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। নাসুম ২ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৮ রান। এ সিরিজেই সর্বনিম্ন রানের সম্বল নিয়ে জেতার রেকর্ড করেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে আবারও বদলে গেল সে রেকর্ডটা।
জয়ের জন্য ১২৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান। নাসুমের শট অব লেন্থে বলে বোল্ড হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে পুরো সিরিজে দাপট দেখানো মিচেল মার্শকে সাজঘরে পাঠান নাসুম। বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন ৪ রান করা মার্শ। এরপর বেন ম্যাকডারমটকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড।
যদিও সেটা খুব বেশি সময় স্থায়ী হতে দেননি সাকিব। ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বল করতে আসেন বাঁহাতি এই স্পিনার। বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় বলেই অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করেন সাকিব। ২২ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়েড।
সাকিবের পর মাহমুদউল্লাহও বোলিংয়ে এসেই উইকেট নিয়েছেন। ম্যাকডারমটকে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন তিনি। এরপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন মাত্র ৩ রান করা অ্যালেক্স ক্যারিকে বোল্ড করেন। সমান রান করা ময়েজেস হেনরিকসকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাইফউদ্দিন।
ইনিংসের ১২তম ওভারে সাকিব বলে শর্ট কভার দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন অ্যাস্টন টার্নার। তবে ব্যাটে-বলে সেভাবে টাইমিং না হওয়ায় মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই অজি ব্যাটসম্যান। এরপর অ্যাস্টন অ্যাগার, এলিয়েস, জাম্পা দ্রুত বিদায় নিলে বাংলাদেশের ৪-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ১২২/৮ (২০ ওভার) (নাইম ২৩, মেহেদি ১৩, সাকিব ১১, সৌম্য ১৬, মাহমুদউল্লাহ ১৯, সোহান ৮, আফিফ ১০, মোসাদ্দেক ৪*; ক্রিস্টিয়ান ২/১৭)
অস্ট্রেলিয়া: ৫৪/৬ (১০.৫)/ সাকিব ৯/৪, নাসুম ৮/২, সাইফুদ্দিন ১২/৩ আর মাহমুদউল্লাহ নেন একটি উইকেট।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)