জিয়ার নামে জাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জিয়াউর রহমান ছিলেন গুপ্তঘাতক, পাকিস্তানের দালাল। রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত কোনো জাদুঘর জিয়ার নামে থাকতে পারে না। তাই চট্টগ্রাম পুরনো সার্কিট হাউজে জিয়ার নামে চলা জাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে। সেই ভবনকে পুনরায় সার্কিট হাউজে পরিণত করা হবে।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন এম এ হান্নান। সেই ঘোষণার মাইক্রোফোন জিয়ার জাদুঘরে থাকবে না; তা কালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে।
ডা.মুরাদ বলেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী। এখানে হানাদার বাহিনীর টর্চার সেলে শহীদ হয়েছেন অনেক বাঙালি। অনেকগুলো ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই সার্কিট হাউস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই জাতির পিতার খুনির নামে রাষ্ট্রের টাকায় জাদুঘর হতে পারে না।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি সালা উদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি শহীদ উল আলম প্রমুখ।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান সাংবাদিকদের নানা সমস্যা, সমাধান এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গণমাধ্যমবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন। তিনি করোনাকালে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে দশ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। কোনো সাংবাদিকের দেশে, বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তিনি পাশে দাঁড়ান। কোনো সাংবাদিকের পরিবার অসহায় অবস্থায় পড়লে তিনি পাশে দাঁড়ান।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে চট্টগ্রামে আগমন এবং মতবিনিময় সভায় যোগ দেয়ায় ধন্যবাদ জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)