কলারোয়ায় মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে পিতার মামলা, মা-মেয়ে বলছেন স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন
সাতক্ষীরার কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। এঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী-২০০৩, অপহরণ ও সহায়তার অপরাধে একটি মামলা নং-৩১(১২)২১হয়েছে।
মামলার বাদী শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের জানান, তার নাবালিকা কন্যা (১৫) কে কলারোয়া পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামস্থ হাসপাতাল রোডের সামনে থেকে ২০ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
তিনি অরো বলেন, তার কন্যা কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণীতে লেখা পড়া করে। উক্ত স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণকারী শফিকুল ইসলাম নানা ভাবে উত্যক্তসহ কুপ্রস্তার দিয়ে আসছিলো। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০ ডিসেম্বর সকালে তার কন্যাকে অপরহণ করা হয়েছে।
এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে অপহরণকারী উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম, টুটুল হোসেন ও মৃত কেদার গাজীর ছেলে কাবিল হোসেনকে আসামী করে একটি মামলার দায়ের করেন।
থানা পুলিশের একটি টিম অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রেখেছে।
এদিকে, কলারোয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীন মৃধা জানান-অপহৃতাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে, পারিবারিক বিষয়টি গত কয়েকদিন নেট মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে মেয়ে ও তার মা একাধিক ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন তারা পিতা ও স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন। মেয়েটির মা শেখ আমানুল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক।
ভিডিও লাইভে তারা দাবি করেছেন, মামলা রুজু হওয়ার আগেই তারা যে অপহৃত হননি বরং স্বামী/পিতার অত্যাচার নির্যাতনে বাড়ি থেকে স্বেচ্ছায় চলে গেছেন সেই বিষয়টি কলারোয়ার থানার সদ্যসাবেক ওসি’কে মোবাইল ফোনে অবগত করেন যেটা তাদের ভয়েস রেকর্ড আছে। এমনকি তদন্তকারী এক এসআই টাকা খেয়ে মামলা রুজু করিয়েছেন বলে তারা ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেছেন। তারা বারবার বলছেন যে, তারা অপহৃত হননি বা কেউ অপহরণ করেননি বরং কলজে শিক্ষক স্বামী-পিতার অত্যাচার-নির্যাতনে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন মা ও মেয়ে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)